আন্তর্জাতিক

অনিশ্চয়তার দোলাচলে টানেলে আটকে পড়া ৪১ শ্রমিকের জীবন

আবার বন্ধ ভারতের উত্তরাখন্ডের টানেলের উদ্ধারকাজ। কবে উদ্ধার করা যাবে ৪১ জন শ্রমিককে, তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না উদ্ধারকারী দল। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাতে টানেলের ভেতরে লোহার পাইপে ধাক্কা লাগে, থামিয়ে দেওয়া হয় উদ্ধারকাজ। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ড্রিলিংয়ে ব্যবহৃত অগার মেশিনের ব্লেড।

Advertisement

এবার অগার মেশিনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হলো। শনিবার উদ্ধারকারী দলের পক্ষ থেকে জানানো হলো, টানেলে আর অগার মেশিন ব্যবহার করা হবে না। এবার ম্যানুয়ালি অর্থাৎ শ্রমিক দিয়েই পাথর-মাটি খনন করা হবে।

আরও পড়ুন>কেন দেরি হচ্ছে টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে?

এদিন উদ্ধারকারী দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শুক্রবার রাতে খননের সময় ফের টানেলের ভেতরে থাকা পাইপে ধাক্কা লাগে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় অগার মেশিনের ব্লেড। বারংবার একই সমস্যা হওয়ায়, উদ্ধারকারী দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আর অগার মেশিন ব্যবহার করা হবে না।

Advertisement

উদ্ধারকারী দল বৈঠক করার পর সিদ্ধান্ত নেয়, ম্যানুয়াল ড্রিলিং করা হবে। এটাই শেষ ভরসা। টানেলের মাত্র ১০ শতাংশ ড্রিলিং বাকি রয়েছে। শ্রমিকরা এই অংশের মাটি কোদাল দিয়ে খনন করবে। তবে এটি যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। ১৮ থেকে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে এই অংশের খনন করার জন্য। রোববার থেকে ম্যানুয়াল ড্রিলিং শুরু করা হতে পারে।

আপাতত টানেলের ভেতর থেকে অগার মেশিনের ভাঙা অংশ বের করে আনা হচ্ছে। এবার এই মেশিন ব্য়বহার করা হবে টানেলে খোঁড়া গর্তের মধ্যে পাইপ ঢোকানোর জন্য।

উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, টানেলের ভেতরে যে অংশটুকুর খনন বাকি রয়েছে, তা যন্ত্রের বদলে শ্রমিকদের দিয়েই খনন করা হবে। আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে উদ্ধারকারী দলের মধ্যে দূরত্ব মাত্র ১০ থেকে ১২ মিটার। এই অংশটুকু শ্রমিকরা কোদাল দিয়ে খনন করবে। আপাতত যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তাতে পাইপের ভেতরে দুইজন শ্রমিককে পাঠানো হবে। একজন শ্রমিক মাটি কাটবেন, অপরজন সেই মাটি-পাথরগুলো বাইরে বের করে আনায় সহযোগিতা করবেন। যে স্ট্রেচারে দড়ি বেঁধে শ্রমিকদের টেনে বের করে আনার পরিকল্পনা ছিল, সেই স্ট্রেচারেই ভাঙা মাটি-পাথর বের করে আনা হবে।

আরও পড়ুন>টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছাকাছি উদ্ধারকারী দল

Advertisement

অন্যদিকে, ভার্টিকাল বা উল্লম্ব ড্রিলিংয়ের কাজও শুরু করা হচ্ছে সিলকিয়ারা টানেলে। এবার টানেলের উপর থেকে খনন করা হবে। এর জন্য বিশেষ মেশিনও আনা হয়েছে। আজ থেকেই এই খননকাজ শুরু হতে পারে।

উদ্ধারকাজ আটকে যাওয়ার খবর পেয়েই এ দিন ফের ঘটনাস্থলে যান উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। পরবর্তী কী পদক্ষেপ করা হবে ও আটকে থাকা শ্রমিকদের মনোবল বাড়াতে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

সূত্র: এনডিটিভি

এমএসএম