পরিবারের বা আপনজন কেউ মারা গেলে কেঁদে দুঃখ কমানোর চেষ্টা করেন অনেকে। তবে জানেন কি? ভারতের রাজস্থানে বিচিত্র পেশার এক সম্প্রদায় বাস করেন। তাদের কাজ হলো ভাড়াটিয়া হিসেবে মৃত ব্যক্তির জন্য চোখের জল ঝরানো! এদের সম্প্রদায়ের নাম ‘রুদালি’। বহুকাল ধরেই ওই সম্প্রদায়ের নারী দের একমাত্র পেশা এটি।
Advertisement
তবে এবার জাপানের একটি সংস্থা অন্য একটি উপায় এনেছে। তারা মানুষকে কাঁদতে উৎসাহ দিচ্ছেন। কান্না মোছানোর জন্যও ভাড়ায় মিলছে সুপুরুষ যুবক। মন হালকা হয়ে যাওয়ার পর তারাই সযত্নে মুছিয়ে দিচ্ছে চোখের পানি।
আরও পড়ুন: ৭ দিন কফিনবন্দি হয়ে কবরে কাটালেন তিনি
‘মর্দ কো দর্দ নেহি হোতা’, চোখের পানি ফেলা দুর্বলতা, মানসিক যন্ত্রণা গিলে ফেলতে হয়, এ হেন ভাবনার বিপরীতে কাজে নেমেছে জাপানি সংস্থাটি। মনোবিদরাও বলেন, মনের ভাব প্রকাশ করাই মনকে সুস্থ রাখার একমাত্র চাবিকাঠি। এই মন্ত্রকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষকে প্রাণ ভরে কাঁদতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এমনকী ভাড়ায় মিলছে সুপুরুষ যুবক। যারা কাঁদতে সাহায্য করার পাশাপাশি চোখের জল মুছিয়ে দেবে।
Advertisement
টোকিওর ইকেমেসো দানশি নামে সংস্থা কাজের চাপ কমাতে এই পরিষেবা দিচ্ছে অনন্ত ইঁদুর দৌড়ে ক্লান্ত নাগরিকদের। সংস্থায় রয়েছে প্রশিক্ষিত ‘হ্যান্ডসাম উইপিং বয়েজ’, অর্থাৎ সুপুরুষ কাঁদুনে যুবকের দল। তারা কান্না মুছিয়ে দিতেও সমান পারদর্শী।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে গেলে যেখানে হয় জেল-জরিমানা
এর জন্য খরচ করতে হবে ৭ হাজার জাপানি ইয়ন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ করলেই আপনার ডাকে সাড়া দেবে হ্যান্ডসাম কাঁদুনেরা। আপনাকে কাঁদতে সাহায্য করবে তারা।
সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একসঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ কাঁদলে মন ঝরঝরে হয়ে যায়। উন্নতি হয় মানসিক স্বাস্থ্যের। সেই ভাবনা থেকেই কান্নার তথা মন খারাপের সঙ্গীর ব্যবসা শুরু করেছে ইকেমেসো দানশির। মনোবিদরাও বলছেন, ক্রমশ সম্পর্কের সুতো আলগা হওয়া অবদমিত সমাজের বাই প্রোডাক্ট কান্নার ব্যবসা!
Advertisement
সূত্র: এনডিটিভি
কেএসকে/জেআইএম