দেশজুড়ে

অফিসে না এলেও এক বছর ধরে বেতন তুলছেন এলজিইডির কার্যসহকারী

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা অফিসে না গিয়ে এক বছর ধরে সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন কার্যসহকারী আদনান আল ফয়সাল। এ নিয়ে অফিসের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অসন্তোষ।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের চর লামছি গ্রামের বাসিন্দা আদনান আল ফয়সাল ২০১৮ সালে জিএনপি-৩ প্রজেক্টে কার্যসহকারী হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর ২০১৮-২০২২ সাল পর্যন্ত এলজিইডি সদর দপ্তরে চাকরি করেন।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর কার্যসহকারী হিসেবে সোনাগাজী অফিসে যোগ দেন ফয়সাল। বিগত এক বছরেরও অধিক সময় ধরে উপজেলা প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে সোনাগাজী অফিসে না এলেও মাসিক বেতন বিলে শুধুমাত্র সই করে ১৫ হাজার ৬৫০ টাকা উত্তোলন করে আসছেন। তার অফিসের কাগজপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাজে সহযোগিতা করেন একই অফিসে কর্মরত তার এক নিকটাত্মীয়। তবে তার নাম জানা যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলজিইডি অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, আদনান আল ফয়সালের বাবা আবুল খায়ের ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী হওয়ায় ২০১৮ সালে জিএনপি-৩ প্রজেক্টে কার্যসহকারী হিসেবে নিয়োগ পাইয়ে দেন। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে তাকে কাজ করতে হয়নি। তিনি ঢাকায় একটি কলেজে পড়াশোনা করেন বলে জানা যায়।

Advertisement

চাকরি না করে এবং কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে প্রতিমাসে কার্যসহকারী আদনান কর্তৃক সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাগাজী উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল কাদের মুজাহিদ বলেন, আদনান ঢাকায় পিডি অফিসে কাজ করেন।

এ নিয়ে কোনো অনুমতিপত্র আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাত্র বিধায় পড়াশোনা করছে। তাই তিনি ঢাকা থাকেন। তবে সব বিষয়ে আপনাদের বলা যাবে না। বিগত দিনে ডিউটি না করে বেতন নেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবো।

এ বিষয়ে আদনান আল ফয়সালের মোবাইল নম্বরে কল দিলে তিনি ব্যস্ত আছেন পরে কথা বলবেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। পরবর্তীতে তাকে কয়েকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি। এমনকি মোবাইল নম্বরে বার্তা পাঠালেও কোনো জবাব দেননি।

এলজিইডি-ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহমুদ আল ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী বিষয়টি দেখাশোনা করেন। যেহেতু আমি এখন জেনেছি, খোঁজ নিয়ে দেখবো।

Advertisement

আবদুল্লাহ আল-মামুন/এসজে/জেআইএম