প্রবাস

পর্তুগালে মানবপাচারের অভিযোগে আটক ২৮

পর্তুগাল পুলিশ মঙ্গলবার দেশটির বেশ কিছু খামারে অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে মানবপাচার এবং শ্রম শোষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৮ জনকে আটক করেছে তারা।

Advertisement

দক্ষিণ পর্তুগালের আলেনতেজো অঞ্চলের ৭৮টি জায়গায় অনুসন্ধান চালায় পর্তুগাল পুলিশ। অভিযানে পুলিশের শতাধিক সদস্য অংশ নিয়েছেন। খামার ও পাচারকারীদের বাড়িগুলোতে পরিচালিত অভিযান শেষে মোট ২৪ জন ব্যক্তিকে করে কর্তৃপক্ষ।

আটকের পর তাদের সবাইকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অপরাধমূলক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা, অনিয়মিত অভিবাসনে সহায়তা, শ্রম শোষণের মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি, অর্থপাচার এবং শারীরিক নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে অভিযোগ আনা হবে।

সন্দেহভাজনরা এমন একটি চক্রের সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে, যারা পর্তুগালের কৃষিখাতে আসতে চাকরির প্রলোভন দিয়ে অনেককে প্রলুব্ধ করেছে। চক্রটির মধ্যে মধ্যে পর্তুগিজ নাগরিক এবং বিদেশিরাও আছে।

Advertisement

তাদের সবাইকে বুধবার আদালতে তোলা হয়েছে।

পর্তুগিজ কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা অভিযানের সময় উল্লেখযোগ্য প্রমাণ জব্দ করেছে। যা চক্রটির সঙ্গে জড়িত অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে সহায়তা করবে।

এই চক্রটির কারণে শোষণের শিকার হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে রোমানিয়া, মলডোভা, ইউক্রেন, ভারত, সেনেগাল এবং পাকিস্তানের নাগরিকেরা রয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।

কাউন্সিল অব ইউরোপের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এক হাজার ১৫০ জনেরও বেশি লোক পর্তুগালে মানবপাচারের শিকার হয়েছেন। এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।

Advertisement

পর্তুগালের কৃষিখাতে শ্রম শোষণের মাত্রাও বেড়ে চলেছে।

পর্তুগিজ পুলিশ এক বছর আগেও একই অঞ্চলে এ রকম একটি চিরুনি অভিযান চালিয়েছিল। ওই সময় পূর্ব ইউরোপ, আফ্রিকা এবং এশিয়া থেকে আসা অনিয়মিত অভিবাসী শ্রমিকদের শোষণের অভিযগে ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

এমআরএম/এএসএম