ভয়াবহ খরার ফলে সৃষ্ট খাদ্যাভাবের প্রভাবে ইথিওপিয়ার উত্তর টাইগ্রে ও আমহারা অঞ্চলে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। তাছাড়া খাদ্যের অভাবে ওই অঞ্চলের প্রায় চার হাজার গবাদিপশুও মারা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ ইথিওপিয়াকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া স্থগিত করার পর এ মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে।
Advertisement
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, টাইগ্রের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কার্যালয়ের মতে, ৪৬ জন বাস্তুচ্যুত মানুষ এরই মধ্যে খরার কারণে বাড়ি ছাড়ার পর মারা গেছে। কার্যালয়ের প্রধান গেব্রেহিওত গেব্রেগজিয়াবার বলেছেন, ইয়েচিলা নামের একটি শহরে ওই মানুষদের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: পেরুর আন্দিজ হিমবাহের অর্ধেক বরফ গলে গেছে
টাইগ্রেতে দুই বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধ এক বছর আগে শেষ হয়েছে। এই অঞ্চলের মানুষরা এখনো সবকিছু গুছিয়ে উঠতে পারেননি। এরই মধ্যে আমহারায় আরেকটি সংঘাত শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, আমহারায় খরার কারণে খাদ্যসংকটে কমপক্ষে ছয়জন ও চার হাজার গবাদিপশু মারা গেছে।
Advertisement
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ ইথিওপিয়াকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া স্থগিত রেখেছে। এতে দেশটিতে মানবিক সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। যুদ্ধ ও চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সেখানকার লাখ লাখ মানুষ সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল।
আরও পড়ুন: ঘরে বিষাক্ত সাপ ছেড়ে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা!
আবার ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশ মারাত্মক খরার সম্মুখীন হলেও দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যা দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘের মতে, সাম্প্রতিক সপ্তাহে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে ৪০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে, যাদের অধিকাংশই পূর্ব সোমালি অঞ্চলের।
সূত্র: বিবিসি
Advertisement
এসএএইচ