চলছে দাম্পত্য কলহ। আর তাতেই অতিষ্ঠ হয়ে ঘরে বিষাক্ত সাপ ছেড়ে দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেই সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে তার স্ত্রী ও দুই বছরের শিশু সন্তানের। অবিশ্বাস্য হলেও ভারতের ওড়িশা রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে।
Advertisement
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, প্রায় দেড় মাস আগে ওড়িশার গঞ্জাম জেলার কবিসূর্যনগর থানার আধেগাঁও গ্রামে ঘরে সাপ ছেড়ে দিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার এ ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২ পুলিশ সদস্যকে ২ ঘণ্টা ঘাস কাটার সাজা!
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি এই কাজ করেছেন, তার নাম ‘কে গণেশ পাত্র’ বলে জানা গেছে। ২০২০ সালে ‘কে বাসন্তী পাত্রকে’ (২৩) বিয়ে করেন তিনি। তাদের সংসারে দেবস্মিতা নামে দুই বছরের একটি মেয়ে ছিল। সংসার শুরুর প্রথম দিকে সবকিছু ঠিক থাকলেও, কিছু দিন পর থেকেই গণেশ-বাসন্তীর সংসারে অশান্তি শুরু হয়।
Advertisement
জানা গেছে, গত ৬ অক্টোবর গণেশ প্লাস্টিকের বয়ামের ভেতরে করে একটি কোবরা সাপ বাড়িতে নিয়ে আসেন। সে সময় তার স্ত্রী ও মেয়ে ঘুমিয়ে ছিল। সেই সুযোগে গণেশ সাপটি ঘরে ছেড়ে দেয়। পরের দিন সকালে দুজনকেই সাপের কামড়ে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় গণেশ অন্য ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের অনুষ্ঠানে মিষ্টি নিয়ে মারামারি, আহত ৬
গঞ্জামের পুলিশ সুপার জগমোহন মীনা জানিয়েছেন, গণেশ ‘ধর্মীয় উদ্দেশে ব্যবহার’ করার কথা বলে এক সাপুড়ের কাছ থেকে বিষাক্ত ওই সাপটি কিনেছিলেন। এ ঘটনায় পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর (ইউডি) মামলা করেছে। তাছাড়া বাসন্তীর বাবা গণেশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করার পর, জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
Advertisement
এসএএইচ