চীনের উত্তরাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার বিষয়ে আরও তথ্য চেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। পাশাপাশি, সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে চীনা কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে তারা।
Advertisement
ডব্লিউএইচওর মতে, গত তিন বছরে একই সময়ের তুলনায় চলতি বছর অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে উত্তর চীনে ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় অসুস্থতা’ বেড়েছে।
আরও পড়ুন>> দিনে ১৫টি সিগারেট খাওয়ার সমান ক্ষতিকর একাকিত্ব
এ কারণে শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা বৃদ্ধি এবং শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য চীনের কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। বুধবার (২২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে বৈশ্বিক সংস্থাটি।
Advertisement
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি) গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেছিল, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও সাধারণ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের মতো পরিচিত প্যাথোজেনগুলোর সঞ্চালনের কারণে শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা বেড়েছে। এর সঙ্গে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার সম্পর্ক থাকতে পারে বলে জানিয়েছিল তারা।
আরও পড়ুন>> বাংলাদেশে ডেঙ্গুর বিস্তারে বড় বিপদের হাতছানি
বেইজিং সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের উপ-পরিচালক এবং প্রধান মহামারি বিশেষজ্ঞ ওয়াং কোয়ানি বুধবার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বেইজিং নিউজকে বলেছেন, চীনের রাজধানী ‘শ্বাসযন্ত্রের সংক্রামক রোগের উচ্চ প্রকোপ মৌসুমে প্রবেশ করেছে’।
বর্তমানে বেইজিংয়ে ‘একাধিক প্যাথোজেন সহাবস্থানের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে’ বলে জানান এ বিশেষজ্ঞ।
Advertisement
গত ২১ নভেম্বর চীনা মিডিয়া এবং পাবলিক ডিজিজ সারভেইলেন্স সিস্টেম প্রোমেড উত্তর চীনে শিশুদের মধ্যে নির্ণয় না হওয়া নিউমোনিয়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার খবর জানিয়েছে।
ডব্লিউএইচও বলেছে, প্রোমেডের প্রতিবেদন চীনা কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলনের সঙ্গে সম্পর্কিত কি না তা স্পষ্ট নয়। এটিই নিশ্চিত করতে বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আরও পড়ুন>> ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে
এছাড়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, সার্স-কভ-২ (কোভিড-১৯’র জন্ম দেয় এমন ভাইরাস), আরএসভি আক্রান্ত শিশুদের এবং মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়াসহ পরিচিত প্যাথোজেনগুলো সঞ্চালনের সাম্প্রতিক প্রবণতা সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্যের জন্য অনুরোধ করেছে ডব্লিউএইচও।
সূত্র: এএফপি, এনডিটিভিকেএএ/