নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে দলের নেতাকর্মীরাই তালা মেরে পালিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
Advertisement
তিনি বলেন, কিছু কিছু পত্রিকা লিখেছে বিএনপির অফিসে তালা। বিএনপির অফিসে তো প্রশাসন তালা মারে নাই। তারা নিজেরাই তালা মেরে পালিয়ে গেছে। একটা তালা খোলার মানুষও নাই তাদের। একটা রাজনৈতিক দলের সেই সাহস নেই যে, তালা ভেঙে অফিসে গিয়ে বসবে। তারা কীভাবে রাজনীতি করবে। আমার মনে আছে, বিএনপি আমাদের অফিসে তালা মেরেছিল। আমরা তালা ভেঙে অফিসে গিয়ে বসেছি।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) তথ্য ভবনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের নতুন অফিস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দুই কোটি নেতাকর্মী ঘরছাড়া, দাবি রিজভীর
Advertisement
তিনি বলেন, কর্মসূচির নামে সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে বিএনপি। প্রতিদিন গাড়ি পোড়াচ্ছে। আপনারা (সাংবাদিক) নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে লেখেন। তারা ভেবেছিল জ্বালাও পোড়াও করে নির্বাচন পেছাবে। বিএনপিকে কেউ কেউ বাতাস দিচ্ছে। যারা বাতাস দিয়েছে তাদের বাতাস ফুরিয়ে গেছে। তারা ভেবেছিল এগুলো করে নির্বাচনকে ঠেকিয়ে দেবে। কিন্তু নির্বাচন বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে জনগণের অংশগ্রহণে হবে।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বিএনপির জোট থেকে এখন সবাই পালিয়ে যাচ্ছে। তারা নাকি জোটসঙ্গীদের সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। অথচ তাদের জোট থেকে তিনটা নিবন্ধিত দলসহ ছয়টি দল বেরিয়ে গেছে। এরা সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণাও দিয়েছে। যেভাবে তৃণমূল বিএনপি এগিয়ে যাচ্ছে। আমার শঙ্কা হয়, বিএনপি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: মার্কিন দূতাবাসের দুই সেক্রেটারির সঙ্গে রুমিন ফারহানার বৈঠক
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের ভরসার স্থান উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে সাংবাদিকবান্ধব তা প্রমাণিত। তিনিই প্রথম কল্যাণ ট্রাস্টের ধারণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন সবাই যেন দলমত নির্বিশেষে তার প্রাপ্য অনুযায়ী সহায়তা পায়। তাই যারা প্রেস ক্লাবের সামনে বসে সরকারের পতন চায়, আমরা তাদেরও সহায়তা দিচ্ছি।
Advertisement
অনুষ্ঠানে ১৮৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের মাঝে এক কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
আরএএস/জেডএইচ/এএসএম