ক্যাম্পাস

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো পতাকা হাতে জিয়া পরিষদের মিছিল

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল বাতিলের দাবিতে কালো পতাকা হাতে মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) জিয়া পরিষদ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোড থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়ে শহীদ মিনারে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে জিয়া পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কুদরত-ই-জাহানের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, আওয়ামী সরকার ২০১৪ সালে বিনা ভোটে এবং ২০১৮ সালে আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে অবৈধ ও নির্লজ্জভাবে শাসনক্ষমতা জবরদখল করে। বিএনপিসহ বেশিরভাগ বিরোধী দল ও অধিকাংশ জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। আজকের নতুন প্রজন্ম তাদের ভোটাধিকারের সুযোগ পাচ্ছে না। দেশে আজ দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থপাচার, বিরোধী মত দমন, গুম, খুন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের কারণে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ।

নির্বাচন কমিশনের এ তফসিলকে ষড়যন্ত্রমূলক ও একতরফা দাবি করে তারা আরও বলেন, তফসিল অবিলম্বে বাতিল ঘোষণা করে কারাবন্দি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আহ্বানও জানাই।

Advertisement

সমাবেশে জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হক বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ এর মতো নির্বাচন আর হতে দেওয়া যাবে না। আমরা নিশ্চিত এ সরকারের অধীনে যদি আবারো নির্বাচন হয় তাহলে কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনের জনগণের মতো নির্যাতন এদেশের জনগণকেও সহ্য করতে হবে। বর্তমানে বিএনপির সাধারণ মানুষ ও শিক্ষকরা রাতে ঘুমাতে পারেন না। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কীভাবে তফসিল ঘোষণা করে? অবিলম্বে এ তফসিল বাতিল করতে হবে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন দিতে হবে।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম-২, অধ্যাপক মো. গোলাম ছাদিক, অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসুদ, অধ্যাপক কাজী মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক মো. আমিনুল হক, অধ্যাপক মো. আব্দুল আলিম, অধ্যাপক মো. আলতাফ হোসেন-১, অধ্যাপক মো. আমিরুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জামান, অধ্যাপক এ বি এম হামিদুল হক, অধ্যাপক মো. আওরঙ্গজীব আব্দুর রহমান, অধ্যাপক মো. নুরুল আলম, অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেনসহ শতাধিক শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

মনির হোসেন মাহিন/এসজে/এএসএম

Advertisement