গত ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে বিএনপি এবং গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর ১৩ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের আক্রমণে সারাদেশে বিএনপির প্রায় দুই কোটি নেতাকর্মী দিনের পর দিন ঘরছাড়া।
Advertisement
বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে অবরোধের ষষ্ঠ দফার সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এ সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের বদলে অতীতের মতো প্রহসন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে নির্লজ্জভাবে জুলুম-নির্যাতন, চক্রান্ত, নাশকতা ও মিথ্যাচারের পথ বেছে নিয়েছে। গণতন্ত্রের শেষ চিহ্ন মুছে দিতে গেস্টাপো বাহিনীর আদলে গড়ে তোলা গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। গ্রেফতার করে তুমুল ভাঙচুর করা হচ্ছে বাড়িঘরে। ‘নিখোঁজ’ বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগারে খুঁজে বেড়াচ্ছেন স্বজনেরা।
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি জনপদ-গ্রাম-গঞ্জ-শহর-বন্দরে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। একাত্তরের যুদ্ধকালীন সময়ের মতো। সরকার পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি হেলমেট বাহিনী নামিয়েছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালাচ্ছে হেলমেট বাহিনী।
Advertisement
রিজভী বলেন, গত ৪০ দিনে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা ২৬টি মিথ্যা মামলায় কথিত বিচার কার্যক্রমের নামে বিএনপির ৪১৫ নেতাকর্মীকে সাজা দিয়েছেন আদালত। এখন গায়েবি সাজা দেওয়া হচ্ছে। এখন মৃত-ব্যক্তিকে সাজা দেওয়া হচ্ছে। বিরোধীদল করলে মরেও শান্তি নেই। বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে গত পরশু বাংলাদেশে। যেখানে মৃত ও গুম হওয়া ব্যক্তিকে সাজা দিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য করেছে আদালত।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ মামলায় সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের মোট ৫১৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত ৯৮ মামলায় ৩১৭৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কেএইচ/এমএএইচ/জিকেএস
Advertisement