২০২৩ সালে মার্কিন অর্থনীতি পূর্বাভাসকারীদের একটি শিক্ষা দিয়েছে। বছরটি শুরুর আগে প্রায় সব পূর্বাভাসকারী বলেছিলেন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীর ও মন্দার দিকে যাচ্ছে। অবশ্য ওই পূর্বাভাসের যুক্তিসঙ্গত কারণও ছিল। কিন্তু অনেক জল্পনা উড়িয়ে দুই শতাংশ প্রবৃদ্ধির দিকে এগোতে থাকে দেশটির অর্থনীতি। এমনকি মূল্যস্ফীতিও কমে যায়।
Advertisement
এমন পরিস্থিতিতে অনেক বিশ্লেষকই হতাশা থেকে সরে এসেছেন। এবার তাদের পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, ২০২৪ সালে মন্দা এড়িয়ে যেতে সক্ষম হবে যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া মূল্যস্ফীতিও তাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে। সম্প্রতি উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে উদ্বেগ ছিল যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। কিন্তু সেখান থেকে এবারের অবস্থানকে সফট ল্যান্ডিং মনে করা হচ্ছে। তবে ২০২৩ সালের পূর্বাভাস নিয়ে যে অনেকেই ভুল ছিলেন সে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। ঠিক একই ভুল ফের হতে পারে এমন প্রশ্ন তুললে সেটাও গুরুত্বহীন হবে না।
আরও পড়ুন>২০২৪ সালেও শক্তিশালী থাকবে ধনী দেশের শ্রমবাজার
কারণ ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি তিনটি ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। প্রথমত, দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হারের বৃদ্ধি ও এর প্রভাবের মধ্যে সবসময় দেরি। ২০২৩ সালে ভোক্তা ও কোম্পানিগুলোর সঞ্চয় ছিল, যা তাদের অর্থায়নের প্রয়োজনকে সীমিত করেছিল। ২০২৪ সালে তাদের ‘থিনার বাফার’ থাকবে এবং উচ্চ হারে তাদের এক্সপোজার বৃদ্ধি পাবে।
Advertisement
দ্বিতীয়ত, যদিও ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার বাড়ানো শেষ করে ফেলেছে। তবে প্রকৃত হার ক্রমশ আরও সীমাবদ্ধ হয়ে উঠবে কারণ মূল্যস্ফীতি কমছে।
তৃতীয়ত, বেকারত্বের হার বাড়ছে এবং ফের ধীরগতির দিকে এগোচ্ছে অর্থনীতি।
এই প্রবণতার মধ্যে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো মার্কিন প্রেসিডেন্সাল নির্বাচন। এরই মধ্যে মার্কিন ভোটাররা বর্তমান অর্থনৈতিক নীতি নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এতে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ডেমোক্রেটিকরা।
বাইডেনের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে চারজনেরও কম ব্যক্তি বাইডেনকে সমর্থন করেছেন। যদিও তার প্রশাসন বেশ কিছু সফলতাকে সামনে নিয়ে এসেছে। সেগুলো হলো মন্দা এড়িয়ে যাওয়া, বেকারত্বের হার কম রাখা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসা। একই সঙ্গে গ্রিন এনার্জিতে বিনিয়োগে আইনও পাশ করেছে বাইডেন সরকার।
Advertisement
তবে এসব সফলতায় আপাতত মন গলছে না মার্কিনিদের। কারণ বাইডেন যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন তার থেকে মূল্য এখনো প্রায় ২০ শতাংশের বেশি রয়েছে।
এমএসএম