ঢাকার আশুলিয়ায় প্রেমিকের বাড়ি গিয়ে রিয়া আক্তার নামে এক কলেজছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তাকে বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের। এ ঘটনায় মামলার দাবিতে মরদেহ নিয়ে থানায় বিক্ষোভ করেছেন তারা।
Advertisement
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আশুলিয়া থানার সামনে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বিক্ষোভ করেন স্বজনরা। রিয়া আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকার মনির হোসেনের মেয়ে ও সাভার লিজেন্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
স্বজনদের অভিযোগ, একই কলেজের কাউছার নামে এক সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রিয়ার। সোমবার ফোন পেয়ে রিয়া কাউছারের বাসার ছাদে যায়। চারতলা ছাদ থেকে ফেলে তাকে হত্যা করেন কাউছার। বিষয়টি থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা না নিয়ে সময় ক্ষেপণ করেন। পরে মরদেহ নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আশুলিয়া থানায় হাজির হন স্বজনরা। মামলার নেওয়ার দাবি জানান তারা। পরে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলা নেওয়ার আশ্বাস দিলে স্বজনরা থানা এলাকা ত্যাগ করেন।
রিয়ার বোন কেয়া আক্তার বলেন, আমার বোনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় কাউছার। সেখানেই কৌশলে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করে। এরপর থেকেই আমরা এসআই নূর খানের সঙ্গে যোগাযোগ করছি মামলা নেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি মামলা না নিয়ে আমাদের ঘুরাচ্ছেন। মামলা নিয়ে গড়িমসি করছেন। উপায় না পেয়ে আজ মরদেহ নিয়েই থানায় এসেছি।
Advertisement
বিষয়টি নিয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর খানের সঙ্গে কথা বলতে গেলে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এ সময় তিনি বলেন, চারতলা ভবনের ছাদ থেকে ওই মেয়েটা পড়ে মারা গেছে। আমি তদন্ত করছি। সিসিটিভি ফুটেজ নিয়া আসছি। সাংবাদিকরা ১৪ বছরেও পারবো এটা কালেক্ট করতে? আমি সাংবাদিকতায় পিএইচডি করছি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থাইকা। আমিতো সাংবাদিকগো তথ্য দেই না। এটাতো মামলা হবে গতকালই সিদ্ধান্ত হইছে।
লাশ বহনকারী মাইক্রোবাসের চালক মাহফুজ হাসান বলেন, আমি থানার সামনে মরদেহের গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ এসআই নূর খান এসে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে দ্রুত মরদেহ নিয়ে যেতে বলেন। একজন পুলিশের কাছে এরকম আচরণ আশা করিনি। আমিতো মরদেহ নিয়ে এসেছি। এখানে আমার কি দোষ?
তবে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হচ্ছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে অসদাচরণের বিষয়টা আমি দেখছি।
মাহফুজুর রহমান নিপু/এসজে/এমএস
Advertisement