দেশজুড়ে

নৌকায় উঠতে চান সুলতান মনসুর-এম এম শাহীন

মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এবং এম এম শাহীনের রয়েছে পরস্পরকে হারিয়ে এমপি হওয়ার ইতিহাস। তেমনি আছে প্রতীক বদলের রূপকথাও। যে কারণে জাতীয় ও স্থানীয় রাজনীতিতে তারা দুজনই আলোচিত মুখ।

Advertisement

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য। এম এম শাহীন ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি। কুলাউড়ার নির্বাচনী মাঠে গত তিন দশকের চির প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও তারা এবার ভিন্ন এক লড়াইয়ে নেমেছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে তারা দুজনই নৌকার মনোনয়ন চান। যে কারণে ভোটারদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নানা কৌতূহল ও জল্পনা-কল্পনা।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মনসুর গণফোরামের মনোনয়ন নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন। এম এম শাহীন ছিলেন নৌকা প্রতীকে। সেই নির্বাচনে সুলতান মনসুর ধানের শীষ প্রতীক অল্প ব্যবধানে নৌকার এম এম শাহীনকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন।

Advertisement

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে বর্তমান এমপি সুলতান মনসুর আহমেদ বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক দিলে আমি নির্বাচন করবো। অন্য কোনো প্রতীক নিয়ে নয়।

সাবেক এমপি এম এম শাহীন বলেন, ‘আমি বিকল্পধারার প্রার্থী হিসেবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে অংশ নিয়েছিলাম। সেই নির্বাচনের বিভিন্ন ঘটনাসহ পুরো বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী জানেন। এবছরও বিকল্পধারা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবে। নৌকা প্রতীক পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’

অপরদিকে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাবেক এমপি আব্দুল মতিন, ২০০৮ সালের মহাজোট প্রার্থী অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম, প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার আবু জাফর রাজু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ কে এম সফি আহমেদ সলমান, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আ স ম কামরুল ইসলাম এবং জাতীয় সংসদের সাবেক সার্জেন্ট এট আর্মস সাদরুল আহমেদ খান নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চান।

এএইচ/জেআইএম

Advertisement