নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে নৌকা পেতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস।
Advertisement
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দুজনের মনোনয়নপত্র কেনার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী নিজেই।
তিনি বলেন, হাতিয়ার টানা দুবারের সংসদ সদস্য আমার সহধর্মিণী আয়েশা ফেরদাউস। আমরা দুজন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছি। তবে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে শুধু আমার মনোনয়নপত্র কেন্দ্রে জমা দেওয়া হয়েছে। নেত্রী আমাকে নৌকা প্রতীক দিলে আবারো বিজয়ী হয়ে আসনটি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চাই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোহাম্মদ আলী। ২০০১ সালেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে আইনি জটিলতায় মনোনয়ন বাতিল হলে তার পক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস। পরে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আয়েশা ফেরদাউস।
Advertisement
১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে নৌকা পেতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কেনেন স্বামী-স্ত্রী। পরে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে মোহাম্মদ আলীর নৌকার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হলেও বর্তমান সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস জমা দেননি।
জানতে চাইলে সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস জাগো নিউজকে বলেন, মোহাম্মদ আলী হাতিয়ার মানুষের আপনজন। আইনি জটিলতা থাকায় ২০০৮ সালে আমি তার পক্ষে নির্বাচন করি। সে নির্বাচনে আমাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পরাজিত ঘোষণা করা হলেও নৌকার মনোনয়ন নিয়ে বিগত ১০ বছর আমি হাতিয়ার উন্নয়নে জড়িত ছিলাম। এবার মোহাম্মদ আলীকে নৌকা প্রতীক দেওয়ার জন্য দলের শীর্ষ নেতাদের অনুরোধ জানিয়েছি।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ১৫ হাজার ৬৬১ জন। এরমধ্যে পুরুষ একলাখ ৬৬ হাজার ৫৫৪ জন, মহিলা একলাখ ৪৯ হাজার ১০৬ ও একজন হিজড়া ভোটার আছেন। দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ৯৬টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ ৬৮২টি।
ইকবাল হোসেন মজনু/এসজে/জেআইএম
Advertisement