বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রতিকে ইতিবাচক আখ্যা দিয়ে যুক্তরাজ্যের জন্য দেশটি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের দেশ হিসাবে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাজ্য সরকারের এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এশিয়ার অর্থনীতির কেন্দ্রভূমি হিসেবে গড়ে উঠছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্য পছন্দসই ব্যবসায়ীক অংশীদার হতে প্রস্তুতি নিতে পারে।যুক্তরাজ্যের ফরেন ও কমনওয়েলথ অফিসসহ বেশ কয়েকটি সরকারি ডিপার্টমেন্টের যৌথভাবে তৈরি করা প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, দেশটিতে জঙ্গিবাদ, সংঘবদ্ধ সন্ত্রাস ও দুর্নীতি দমনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি দিন দিন বেড়েই চলছে। ২০১৩-২০১৮ সালের মধ্যে এই চাহিদা দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে যুক্তরাজ্য। অতএব ইউকে পিএলসি‘র জন্য সামনের সম্ভাবনা হচ্ছে- বাংলাদেশের এই ক্রমবর্ধমান চাহিদার বৃহৎ বাজারে যুক্তরাজ্য বিনিয়োগ করতে পারে।একই প্রতিদেনে, যুক্তরাজ্য ২০২০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে এক ট্রিলিয়ন বা ১ হাজার বিলিয়ন পাউন্ড রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বলেও সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে। এর মধ্যে জাহাজ নির্মাণ, টেলিকম, আইটি, ফার্মাসিউটিক্যাল, শিক্ষা ও উত্পাদনমুখী খাত সহ ভারি-মাঝারি শিল্প এবং সেবা খাত রয়েছে।প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, দেশটিতে জাহাজ নির্মাণ সহ ভারি শিল্পের উন্নয়ন অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এসব খাতে যুক্তরাজ্যের রপ্তানিও বেড়ে চলছে। এই ক্রমর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নতির বাংলাদেশে ভারি শিল্পে সাপ্লাই চেইনের মাধ্যমে ২০২০ সাল নাগাদ যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি হতে পারে ১০০০ বিলিয়ন পাউন্ড।
Advertisement