দ্বিতীয়বারের মতো পেছানো হলো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৮ ডিসেম্বর এ পরীক্ষা হবে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন।
আরও পড়ুন: অসন্তোষে ৯ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী
Advertisement
এর আগে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। গত ৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ২৪ নভেম্বরের পরিবর্তে ১ ডিসেম্বর পরীক্ষা হবে। এদিকে আজ আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় সেটি আবারও পেছানো হলো।
সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলার ৫৩৫টি কেন্দ্রে লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তবে অনিবার্য কারণে তা স্থগিত করা হয়। এ ধাপে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগেই প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা
Advertisement
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো নিউজকে জানান, আজকের আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি বিসিএসের লিখিত পরীক্ষাও একই সময়ে পড়ে যাচ্ছে, সেটাও বিবেচনায় নেওয়া হয়। সবমিলিয়ে পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত হয়।
তিনি বলেন, শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ খুবই জরুরি। অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ঘাটতি রয়েছে। আমরা দ্রুত পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ চূড়ান্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছি। তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে সেটা সাময়িক বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আশা করি সমস্যা দ্রুত কেটে যাবে।
এএএইচ/জেডএইচ/জেআইএম