সাতক্ষীরার অতি সাধারণ পরিবারের সন্তান মুস্তাফিজ এখন বিশ্বখ্যাত তারকা ক্রিকেটার। গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকেই দূরন্ত ফর্মে থাকা মুস্তাফিজ এখন ছুটি কাটাচ্ছেন গ্রামের বাড়ী কালিগজ্ঞের তেঁতুলিয়ায়। ছুটি কাটাতে আসলেও মূলতঃ ব্যস্ততা কমেনি তার। যদিও এ ব্যস্ততা মোটেও খেলাধুলা নিয়ে নয়। এখন ব্যস্ততা আত্মীয়-স্বজনের সাথে গল্প, হাসি আনন্দ আর বন্ধুদের সাথে আড্ডায় সময় পার করা।গ্রামের সাদামাটা মুস্তাফিজ আগে থেকেই ছিল সবার প্রিয়। এখন সেই প্রিয়তায় আরো পূর্ণতা পেয়েছে। সবার সাথেই অত্যন্ত খোলামেলা ও হাস্যোজ্জ্বল তিনি। কথা বলছেন প্রাণখুলে। ঘুরে ফিওে দেখছেন নিজের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোতে। যদিও সদা লাজুক মুস্তাফিজ সাংবাদিক দেখলেই কথা হারিয়ে ফেলেন। এমনকি ক্রিকেট বোর্ড থেকেও নাকি এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ছেলের বাড়িতে আসার পর থেকেই পছন্দের বাজার করছেন বাবা আর মা রান্না শেষে ছেলেকে খাওয়াতে ব্যস্ত। ওদিকে মুস্তাফিজ রয়েছেন ছোট্ট শিশু আর বন্ধুদের নিয়ে খেলা আর আড্ডায় ব্যস্ত।ইনজুরির পর ফিট হয়ে উঠা ক্রিকেট বিস্ময় মুস্তাফিজ জাগো নিউজকে বলেন, ‘তাসকিন ও সানিকে ওয়ার্ল্ড টি-২০তে নিষিদ্ধ করায় অনেক দুঃখ পেয়েছি। খেলার আগে পরিকল্পনা থাকাটাই স্বাভাবিক তবে মাঠে ব্যাটিংয়ের গতি দেখেই মূল পরিকল্পনা মাথায় এসে যায়। আইপিএলে আরও ভালো করার চেষ্টা করবো।’ একইসঙ্গে সবার কাছে দোয়াও চেয়েছেন মুস্তাফিজ।বন্ধুবান্ধব, স্কুলের শিক্ষক, প্রতিবেশী, স্বজন, মা-বাবা ও ভাইদের সাথে কয়েকদিন সময় কাটিয়ে ঢাকা ফিরে যাবেন মুস্তাফিজ। তবে ভুলে যাননি গ্রামের পথে মোটরসাইকেল চালিয়ে ঘুরে বেড়ানোর অভ্যাসটুকু। গ্রামের মাঠে সহপাঠি বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে এখনও নেমে পড়েন ক্রিকেট ব্যাট আর বল নিয়ে। ৩ এপ্রিল মুস্তাফিজের ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।আইএইচএস/পিআর
Advertisement