আন্তর্জাতিক

নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৭

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১৭ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার তথ্য অনুযায়ী, মধ্যরাতের ওই বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে নারী এবং শিশুও রয়েছে। খবর আল জাজিরার।

Advertisement

এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, ওই শরণার্থী শিবিরে হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছে। গাজার মধ্যাঞ্চলে ওই শরণার্থী শিবিরটি অবস্থিত।

আরও পড়ুন: আল-শিফা হাসপাতালের ইনকিউবেটরে থাকা শিশুদের মিশরে নেওয়া হয়েছে

এদিকে জাবালিয়ার একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও কয়েকজন আটকা পড়ে থাকতে পারেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisement

এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতালের ইনকিউবিটরে থাকা শিশুদের মিশরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে জীবন বাঁচানোর জন্য সোমবার (২০ নভেম্বর) তাদের স্থানান্তর করা হয়। এর আগে রোববার ওই শিশুদের শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল রাখতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ শহরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) আল-শিফা হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সে সময় এসব শিশু ইনকিউবেটরে ছিল। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী অবরুদ্ধ করার পর জ্বালানির অভাবে হাসপাতালটি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। এতে মারাত্মক হুমকিতে পড়ে ইনকিউবেটরে থাকা অপরিপক্ক শিশুদের জীবন।

ইনকিউবেটর অচল হয়ে পড়ায় কয়েকটি শিশু মারাও যায়। এরপর এসব শিশুকে বাঁচাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জোরালো দাবি তোলা হয়। মুসলিম দেশগুলোর পাশাপাশি, ইউরোপের কয়েকটি দেশও এ বিষয়ে সরব হয়।

আরও পড়ুন: হাসপাতালের নিচে টানেল/ ইসরায়েলের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস

Advertisement

মিসরীয় টিভি চ্যানেল আল কাহেরা টিভির বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার উদ্ধারকৃত এসব শিশুর প্রথম গ্রুপটিকে গাজা উপত্যকা থেকে মিশরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আরও দুই ডজনের বেশি শিশুকে এদিনে মিশরে স্থানান্তর করা হবে।

টিটিএন