বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া রিজার্ভের ৪০ ভাগ অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ফিলিপাইন সিনেটের প্রেসিডেন্ট প্রো টেম্পর রালফ রেকটো। বৃহস্পতিবার দেশটির জাতীয় দৈনিক দ্য ইনকোয়ারারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সিনেট প্রেসিডেন্ট বলেন, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ফিলিপাইনে পাচার হওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ৪০ ভাগ অর্থ (৩৪ মিলিয়ন) সরকার উদ্ধার করতে পারবে। মঙ্গলবার ব্লু রিবন কমিটির শুনানির পর দেশটির এক রেডিওতে দেওয়া সাক্ষাতকারে রেকটো বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া সব অর্থ কেসিনোতে চলে যায়নি। এই অর্থ উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে তিনি আই্ন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। ক্যাসিনো জাঙ্কেট অপারেটর ও ব্যবসায়ী কিম অঙ সিনেটের প্রেসিডেন্টকে জানান, ৬১ মিলিয়ন অর্থ কেসিনোতে ঢুকেছে। কিম অঙ বলেন, চীনা ব্যবসায়ী ও বন্ধু শুহুয়া এবং ম্যাকাওয়ের বিনিয়োগকারী ডিং ঝিজে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় জড়িত। এছাড়া ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের মাকাতি শাখার ব্যবস্থাপক মাইয়া স্যান্টোস দেগুইতো এতে জড়িত ছিলেন। সরকার ৩৪ মিলিয়ন অর্থ উদ্ধার করতে পারবে বলে ধারণা করছেন রেকটো। এর মধ্যে জুপিটার স্ট্রিটের আরসিবিসি ব্যাংকের শাখা থেকে ফিলরেম সার্ভিস কর্পোরেশনে যাওয়া ১৭ মিলিয়ন, এছাড়া অংয়ের প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন হাওয়াইন লেইসার কর্পোরেশনের ১০ মিলিয়ন, ফিলরেম হয়ে অঙয়ের কাছে যাওয়া সাগে পাঁচ মিলিয়নের মধ্যে ৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন, ডিং গ্রুপের মাধ্যমে সোলায়ের কেসিনোতে যাওয়া ২ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন উদ্ধার করা যাবে বলে তিনি জানান। এসআইএস/এবিএস
Advertisement