জাতীয় নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলমান রয়েছে, যারা চিহ্নিত অপরাধী তাদের আইনের আওতায় আনতে কাজ চলছে। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
Advertisement
তিনি বলেন, সংবিধানের ১২৬ ধারা অনুযায়ী সব নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করছে। নির্বাচন কমিশন থেকে জারিকৃত বিভিন্ন নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে র্যাব।
আরও পড়ুন> ‘তমিজী হক বাসার প্রধান ফটক ঝালাই করে রেখেছিলেন’
তিনি বলেন, অবরোধ শুরুর পর থেকে পরবর্তী সময় যাত্রীবাহী, পণ্যবাহী যানবাহন ও তেলবাহী লরিসহ ১৭ হাজারের বেশি গাড়িকে স্কট প্রদান করেছে র্যাব। দু’শোর বেশি কনভয়কে স্কট প্রদান করে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছে। আমরা এটা করছি যাতে অর্থনৈতিক চেইনটা ঠিক থাকে।
Advertisement
আমাদের এই স্কট চলমান রয়েছে। র্যাবের চার শতাধিক টহল টিম স্কটিংয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। অবরোধে ৫০টির বেশি তেলবাহী লরিকে স্কট দিয়ে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, নাশকতাকারীরা স্থান কাল পাত্র ভেদে কিছু চোরাগুপ্তা হামলা করছে। এসব হামলা প্রতিরোধে র্যাব সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় ছদ্মবেশে অবস্থান করছে, গণপরিবহনে যাত্রীবেশে অবস্থান করছে। আমরা বেশ কয়েকজনকে নাশকতার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।
আরও পড়ুন> ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত করেছে ইসি
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ছদ্মবেশে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান, সাদা পোশাকে ও যাত্রীবেশে গণপরিবহনে অবস্থানের র্যাবের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। এছাড়া, আমরা হামলার জায়গাগুলো শনাক্ত করছি, বাস মালিকদের সঙ্গে বসছি, যারা যে সহায়তা চায় দিচ্ছি। এর ফলে চলন্ত গাড়িতে কিন্তু অগ্নিসংযোগ কমেছে। বাস মালিকদের অনুরোধ করবো যাতে নির্জন স্থানে যানবাহন না রাখে।
Advertisement
টিটি/এসএনআর/এমএস