জাতীয়

কার সইয়ে মনোনয়ন জানতে চেয়ে বিএনপিসহ ৪৪ দলকে ইসির চিঠি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ৪ নভেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য অন্য নিবন্ধিত দলের পাশাপাশি বিএনপিকেও আলোচনায় অংশ নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। বিএনপি মহাসচিব বরাবর পাঠানো হয় ওই চিঠি। তবে দলটির মহাসচিব কারাবন্দি থাকায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গেটে চিঠি রেখে আসে ইসি। এ নিয়ে তৈরি হয় নানান ধরনের সমালোচনা।

Advertisement

সংলাপের আমন্ত্রণের চিঠির সমালোচনার মধ্যেই ফের আলোচনায় নতুন চিঠি। কার সইয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র কেনা হবে- এটা জানতে চেয়ে বিএনপিসহ ৪৪ দলকে চিঠি দিয়েছে ইসি। যদিও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় সাজা ভোগ করছেন। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও কারাবন্দি।

চিঠিতে বিএনপি ও অন্য রাজনৈতিক দল থেকে মনোনীতদের মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতা এবং প্রতীক বরাদ্দ প্রসঙ্গে জানতে চেয়েছে ইসি। বিএনপিসহ ৪৪ দলকে এমন চিঠি দিয়েছে কমিশন। 

শনিবার (১৮ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটভুক্ত নির্বাচন ও দলীয় বা জোটের প্রার্থীর মনোনয়নের বিষয়ে জানাতেও বিএনপিকে চিঠি দিয়েছে ইসি।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার ইসির উপসচিব (নির্বাচনী সহায়তা ও সমন্বয়) মো. মাহবুব আলম শাহ বিএনপিসহ ৪৪ দলকে ইমেইলের মাধ্যমে পৃথক পৃথকভাবে চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে ইসি উল্লেখ করেছে, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ১২(৩ক) দফা(২) এর অধীন প্রত্যেক মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দলিলাদি সংযুক্ত করতে হবে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের পক্ষে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী মাধ্যমে স্বাক্ষরিত এই মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র দিতে হবে যে, প্রার্থীকে ওই দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবে শর্ত থাকে, কোনো নিবন্ধিত দলের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া যাবে। একের অধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হলে তাদের প্রার্থিতা অনুচ্ছেদ ১৬ এর দফা (২) সাপেক্ষ হবে।’

‘১৬(২) যেক্ষেত্রে কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বােএ ধরনের পদধারী কোনো ব্যক্তি থেকে স্বাক্ষরিত একটি লিখিত নোটিশ দিতে হয়। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের তারিখে বা এর পূর্বে তিনি স্বয়ং বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রিটার্নিং অফিসারকে কোনো প্রার্থীর চূড়ান্ত মনোনয়ন সম্পর্কে অবহিত করবেন। ওই দলের অন্যান্য প্রার্থীর প্রার্থিতা স্থগিত হবে।’

চিঠিতে ইসি জানায়, ‘আপনার দলের যে পদধারীর স্বাক্ষরে কোন প্রার্থীকে আপনার দলের প্রতীকে কোন আসনে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে আরপিওর আর্টিকেল ১২(৩এ)বি) এবং ১৬(২)(৩) অনুযায়ী মনোনয়ন প্রদান করা হবে, সে পদধারীর নাম, পদবী ও সত্যায়িত নমুনা স্বাক্ষর সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাতে অনুরোধ করা হলো। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে এগুলোর অনুলিপি পাঠাতে অনুরোধ করা হলো।’

Advertisement

এমওএস/কেএসআর/জেআইএম