চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে এ অঞ্চলে চীনের সামরিক তৎপরতার বিষয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাপান।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক করপোরেশন (অ্যাপেক) ফোরামের আলোচনার ফাঁকে শি’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কিশিদা। গত এক বছরের মধ্যে শি-কিশিদার মধ্যে এটিই প্রথম বৈঠক।
আরও পড়ুন: জিনপিংকে তাইওয়ানের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান বাইডেনের
বৈঠক শেষে কিশিদা বলেন, রাশিয়াকে সহযোগিতা করায় ও জাপান সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক তৎপরতার বিষয়ে আমাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। তাছাড়া, আমি জাপানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেছি।
Advertisement
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি ঐতিহাসিক মোড়ের মুখোমুখি হচ্ছে, যেখানে অংশীদারিত্ব ও মতবিরোধ জটিলভাবে জড়িত। এই অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখার দায়িত্ব জাপান ও চীনের রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪ ঘণ্টার বৈঠক শেষে জিনপিংকে ‘স্বৈরাচার’ বললেন বাইডেন
কিশিদা দেশের এক্সক্লুসিভ অর্থনৈতিক জোনের কথা উল্লেখ করে বলেন, পূর্ব চীন সাগর প্রশ্নে জিনপিংয়ের কাছে আমি আবারও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। সেখানে স্থাপিত চীনের ভাসমান বিভিন্ন অবকাঠামো অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছি।
জাপানি প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিক্রিয়া জানানোর ও চীনে জাপানি পণ্য আমদানির উপর অবিলম্বে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রে ব্যবহার করা বর্জ্য পানি প্রশান্ত মহাসাগরে ছেড়ে দেওয়ার পর চীন দেশটির সব সামুদ্রিক খাবার আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
Advertisement
আরও পড়ুন: তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছাড়ছে জাপান, ক্ষুব্ধ চীন
এছাড়া বৈঠকে উভয় দেশেই নিজেদের স্বার্থে কৌশলগত সম্পর্ক উন্নীত করার ও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখার বিষয়টি পুনঃনিশ্চিত করেছেন বলে জানা গেছে।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনিপিং বলেছেন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, বন্ধুত্ব, পারস্পরিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন ঠিক রাখা হচ্ছে চীন-জাপানের জনগণের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। উভয় দেশেরই ইতিহাসের সাধারণ প্রবণতা ও মতামতের পার্থক্যকে শ্রদ্ধা করা উচিত।
সূত্র: এনএইচকে ওয়ার্ল্ড জাপান
এসএএইচ