আল-কায়েদার প্রয়াত প্রধান ওসামা বিন লাদেনের লেখা ২১ বছর আগের একটি চিঠি নতুন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম টাইমের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিটি এমন এক সময়ে আলোচনায় এলো, যখন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধ চলছে।
Advertisement
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে, যা নাইন ইলেভেন নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, তৎকালীন আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের নির্দেশেই ওই হামলা চালানো হয়েছিল, যাতে প্রায় তিন হাজার মানুষ নিহত হয়। ওই হামলার ১ বছর পরে ২০০২ সালে ওসামা বিন লাদেন মার্কিন জনগণকে উদ্দেশ্য করে একটি চিঠি লিখেন। চিঠিতে তিনি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি দখলদারত্বের সমর্থন করায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা করেন। লাদেনের দাবি ছিল, ইহুদিরা যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ-আন্তর্জাতিক নীতি, পুঁজিবাজার ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে। সেই চিঠিতে লাদেন লিখেছিলেন, ইসরায়েল রাষ্ট্র সৃষ্টি হওয়ার পুরো প্রক্রিয়াটি একটি অপরাধ ও এই রাষ্ট্রকে অবশ্যই নিশ্চিহ্ন করা উচিত। আর ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় যারা ভূমিকা রেখেছে, তাদের সবাইকে চড়া মূল্য দিতে হবে। চিঠিতে লাদেন আরও লেখেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক সৈন্য মোতায়েন করেছে। আমাদের ওপর অত্যাচার ও আমাদের ভূমি দখল করার জন্য ইসরায়েলিদের সঙ্গে জোট গঠন করেছে। এটিই আমাদের প্রতিক্রিয়ার কারণ ছিল। মনে করে হচ্ছে, চিঠিতে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের উল্লেখই ২১ বছর আগের চিঠি পুনরায় ভাইরাল হওয়ার মূল কারণ। সম্প্রতি লিনেট অ্যাডকিনস নামে এক টিকটক তারকার অ্যাকাউন্ট থেকে বিষয়টি সামনে আসে।
ভিডিওটিতে ‘লেটার টু আমেরিকা’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেন অ্যাডকিনস। তার সেই ভিডিও প্রায় ১ কোটি ৩৫ লাখ মানুষ দেখেছে। পরে অবশ্য টিকটক কর্তৃপক্ষ ভিডিটিও সরিয়ে নেয়। বৃহস্পতিবার পোস্ট করা একটি বিবৃতিতে টিকটক বলে, ওই চিঠির বিষয়বস্তু স্পষ্টভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়ম রয়েছে, তা লঙ্ঘন করে। আমরা সক্রিয়ভাবে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেছি। এছাড়া এটি কীভাবে আমাদের প্ল্যাটফর্মে এসেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। এদিকে, টিকটক থেকে ভিডিওটি সরিয়ে ফেললেও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।
সূত্র: টাইম
Advertisement
এসএএইচ