মিরসরাইয়ে শীতকালীন সবজিতে কিছুটা স্বস্তি এলেও দাম কমেনি মাছ-মাংসের। উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে বিক্রেতারা বলছেন, হরতাল-অবরোধে সরবরাহ কমের কারণে দাম একটু বেশি।
Advertisement
বড়তাকিয়া বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আকারভেদে প্রতিটি ফুলকপি ৩৫-৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৪০-৫০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া, মুলা ও আলুর কেজি ৫০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পটল, করলা, শসা, ঢেঁড়স, ঝিঙা ও ধুন্দল। এসব সবজি গত সপ্তাহের মতো একই দামে বিক্রি হচ্ছে। শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। বরবটি প্রতি কেজি ৬৫-৭০ টাকা।
টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। কাঁচামরিচ ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১১০-১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়।
Advertisement
আরও পড়ুন: মাছ-মাংসের বদলে যা খেতে পারেন
মিঠাছড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা শহিদ উল্লাহ বলেন, শীতের সবজি শিম, ফুলকপি, টমেটো বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে দাম কিছুটা কমেছে। শীতে সবজির দাম আরও কমবে।
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৮০-২০০ টাকা, পাঙাশ ২১০-২৩০ টাকা, চাষের কই ২৫০-৩০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা, রুই ২৮০-৪০০ টাকা, কাতল ২৬০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজি আকারের ইলিশের কেজি ১২০০-১৩০০ টাকা।
ডিমের দাম খুচরা বাজারে কিছুটা কমেছে। এখন প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১১ টাকায়। তবে গ্রামীণ দোকানগুলোতে এখনো প্রতি পিস ডিম ১২ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
Advertisement
অন্যদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। সোনালি ও ককের কেজি ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা। পাশাপাশি গরুর মাংসের কেজি ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকা।
মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে বাজারগুলোতে মাছ কম আসছে। পরিবহন সংকটে গাড়ি ভাড়াও বেশি দিতে হচ্ছে। এ কারণে বেশি দামে মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাজারে স্কুল শিক্ষক নুর হোসেন ডিপটি বলেন, মাসে হিসেব করে চলতে হয়। কিন্তু যেভাবে মাছ-মাংসসহ বিভিন্ন শাক-সবজির দাম বাড়ছে মাস শেষে ধার দেনা করে চলা লাগে। এছাড়া চাল, তেল, চিনি, দুধ এগুলোর দাম আগে থেকে বাড়তি রয়েছে।
এম মাঈন উদ্দিন/আরএইচ/এমএস