ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে রাজধানীতে গতকাল রাত থেকেই শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি ৷ ছুটির দিন হওয়ায় রাস্তায় অফিসগামী মানুষের ভিড় নেই। কেউ কেউ জরুরি কাজে বাধ্য হয়ে বের হচ্ছেন। তবে টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তি বেড়েছে রিকশাচালক, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষদের।
Advertisement
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বৃষ্টিতে সবথেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীর রিকশাচালকরা ৷ রোজগারের আশায় বৃষ্টিতে ভিজেই রিকশা চালাচ্ছেন তারা। রিকশাচালক মান্নান মিয়া বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ, একদিন রিকশা না চালাইলে খাওব জুটবো না। বৃষ্টিতে ঘরে বইসা থাকলে আমাগো চলবো না। বয়স হইছে বৃষ্টি আবার শীত শীত লাগতেছে। রিকশা চালাইতে কষ্ট হয়। কি আর করা কাজ তো করাই লাগবো।’
ছুটির দিন হওয়াতে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা এসব চাকুরী প্রার্থীরাও ভোগান্তিতে পড়েছেন। ইডেন মহিলা কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া রাখি ইবনে আফসানা বলেন, ‘সকাল থেকেই বৃষ্টি। বাসা থেকে বের হওয়াটাই ঝামেলা। তারপরও বের হয়েছি। পরীক্ষা তো দিতে হবে। পরীক্ষা শেষে বের হয়েও দেখি বৃষ্টি। এখন ভিজেই বাসায় যেতে হবে।’
Advertisement
তবে রাস্তার মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে। অনেকেই বের হয়ে বৃষ্টিতে আটকা পড়েছেন। চা দোকানদার রিফাত হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টি হলেও চায়ের দোকান খোলা রাখতে হয়। অনেকেই চা খেতে আসে। বড় ছাতা টানায়ে নিছি। বৃষ্টিতে দোকান চালাতে সমস্যা হচ্ছে না। তবে কাস্টমার কম। বৃষ্টির মধ্যে লোকজন তো ঘর থেকেই বাহির হয়না। ’
এছাড়া বৃষ্টির কারনে রাস্তায় মানুষের সংখ্যা কম দেখা গেছে। যারা পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন তারা ছাতা ব্যবহার করছেন। মার্কেট, দোকান গুলোতে তেমন ভিড়ও দেখা যায়নি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি বাংলাদেশের উপকূলের ২৬৫ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বরে বিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে। দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে বলে ধারনা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এনএস/এসআইটি/জিকেএস
Advertisement