গভীর নিম্নচাপটি এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’তে রূপ নিয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সামনের অংশ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বরে বিপৎসংকেত জারি করা হবে।
Advertisement
শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি আজ দুপুর নাগাদ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে। তবে এর কেন্দ্রটি উপকূল অতিক্রম শুরু করবে সন্ধ্যার দিকে। মধ্যরাত নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি খুলনা ও বরিশালের মধ্য নিয়ে উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠবে। কেন্দ্রটি পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: টেকনাফে দেওয়ালচাপায় একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু
Advertisement
আজিজুর রহমান আরও বলেন, ‘দুপুরের আগেই বিপৎসংকেত জারি করা হবে। পরবর্তী বুলেটিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জারি করা হবে। সেখানে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হবে।’
গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’তে রূপ নেওয়ার পর দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার ভোর ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূল থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে ছিল।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টির পুরো শরীর ৩৫০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার বিস্তৃত।
ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। গত রাত থেকেই ঢাকায় বৃষ্টি হচ্ছে।
Advertisement
উপকূল অতিক্রমের বিষয়ে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল (পলাশ) বলেন, সর্বশেষ পূর্বাভাস ও তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, ‘মিধিলি’ শুক্রবার ভোর থেকে দুপুরের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করবে।’
আরও পড়ুন: সাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’, বন্দরে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির বেশিরভাগ অংশ শুক্রবার দুপুর ১২টার আগেই স্থলভাগ অতিক্রম করার সম্ভাবনা খুবই বেশি।
শুক্রবার বিকেল ৩টার পর ঘূর্ণিঝড়ের কোনো অংশ সমুদ্রের ওপর না থাকার সম্ভাবনা বেশি বলেও জানান মোস্তফা কামাল পলাশ।
আরএমএম/বিএ/এমএস