সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ডুবে যাওয়া অয়েল ট্যাংকার থেকে নির্গত তেল সংগ্রহের জন্য প্রতি লিটার ৩০ টাকার স্থলে ৪০ টাকা করা হয়েছে। রোববার আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া নদীর দুইপাড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এবং নদীর উপর নির্ভরশীল গরীব মানুষের জন্য প্রত্যেকে ত্রাণ দেয়ার জন্য সভায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।রোববার নৌ-মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এ কথা জানান।ব্রিফিংকালে শাজাহান খান বলেন, নদীতে ভাসমান তেল উত্তোলনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব আবুল কালাম আজাদকে আহবায়ক করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিববৃন্দকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।তিনি বলেন, সমস্ত গ্রামবাসী এবং সরকারী লোকজন তেল সংগ্রহ করছেন এর বাইরেও আরো মোবাইল টিম বাড়ানো হবে। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিম থাকবে। শুধু তাই নয়, জলজ ও বনজ প্রাণী রক্ষার জন্য চিকিৎসক দল থাকবে।তিনি বলেন, গাছে ভাসমান তেল লেগে রয়েছে। ওই তেল অপসারণ করা হবে। যদি না পারা যায় গাছের ডাল কাটা হবে।তিনি আরও জানান, নদী থেকে তেল অপসারণের কোন সরকারি ব্যবস্থা নেই। বিশ্বে নদী থেকে তেল উঠানো যে পদ্ধতি তা এখানেও রয়েছে। কেবলমাত্র একটি বে-সরকারি দেশীয় প্রতিষ্ঠানের তেল অপসারণের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার সাথে আমরা আজ (রোববার) আলাপ-আলোচনা করবো।তিনি বলেন, কোস্টগার্ডের জন্য ৪টি জাহাজ ক্রয় করার সুপারিশ করেছি। কারণ নদী এলাকায় অত্যাধুনিক কোন জাহাজ নেই। এ রকম দুর্ঘটনা ঘটলে তারা যাতে দেখভাল করতে পারে এ জন্য এ ব্যবস্থা।সাংবাদিকদের এক প্রশের জবাবে তিনি বলেন, যে নৌরুটটি দিয়ে লঞ্চ, জাহাজ চলার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। নৌরুটটি বাতিল করলেই চলবে না এখানে জনগণের কল্যাণের জন্যও সেবার কথা চিন্তা করতে হবে। ওই নৌরুটটি বন্ধ করার ফলে ১শ’ কিলোমিটার ঘুরে নৌযানগুলোকে চলাচল করতে হবে। ওই পথ দিয়ে ভারতের পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে থাকে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব আবুল কালাম আজাদ, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব, নৌপরিবহন সচিব, মংলা, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়াম্যানদ্বয় ও বুয়েটের শিক্ষক সিরাজুল হক খান প্রমুখ।
Advertisement