গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমরা একতরফা নির্বাচন মানি না। আর এই একতরফা নির্বাচনের জন্য যে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, আমরা সেটাও মানি না। দেশের জনগণ তার ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবেই করবে। সেই লক্ষ্যে আন্দোলন চলবে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের আধাবেলা হরতালের সমর্থনে মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে এ হরতাল পালন করছে এই জোট।
জোনায়েদ সাকি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ না থাকা সত্ত্বেও সরকার তথাকথিত সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা বলে আজ একটি একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে চাচ্ছে। সেই ভোটকে আপনি (সিইসি) জায়েজ করার ঘোষণা দিলেন। অনেক জ্ঞানী-গুণী আপনার চাকরি জীবনের সুনামের ওপর ভিত্তি করে আপনার নাম প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে প্রস্তাব করেছিলেন। আজ নিজের সব সুনাম ধ্বংস করে এই সরকারের দালাল হিসেবে আপনি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করলেন। জনতার আদালতে আপনাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
আরও পড়ুন>> তফসিলের প্রতিবাদে বাম জোটের আধাবেলা হরতাল বৃহস্পতিবার
Advertisement
সরকার নানাভাবে আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, নিজেদের এজেন্ট দিয়ে আপনারা (সরকার) পরিকল্পিত উসকানি, সহিংসতা তৈরি করে সব দোষ বিরোধীদলের ওপর চাপিয়ে এক মহা ক্র্যাকডাউন চালিয়েছেন। ২৯ তারিখ সকাল থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তাদের একেবারে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত প্রতিদিন শত শত নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৫ হাজারের ওপর গ্রেফতার। কারাগারে জায়গা হবে না। নতুন নতুন কারাগার বানাতে হবে। যদিও আর এত অল্প সময়ে বানাতে পারবেন না। কাজেই বাংলাদেশকে পুরোটা কারাগার বানিয়েছেন। মানুষ এই কারাগার ভাঙবে।
এসময় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশের জনগণ ২০১৪, ২০১৮ সালের প্রতারণার নির্বাচন দেখেছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ তোমাদের কোনো রকম ভাওতাবাজি মেনে নেবে না। তাই এই নির্বাচন কমিশনকে বলতে চাই, যে তফসিল ঘোষণা করেছো, সেটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করো। নির্বাচন স্থগিত করো, সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করো।
সভাপতির বক্তব্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এই তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা এই নির্বাচন হতে দেবে না। আপনি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু সে নির্বাচন রাতে হবে না দিনে হবে, সেটা বলেননি। ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতে ভোট হয়েছিল। এবার জনগণ রাতে ভোট দিতে চায় না। তারা দিনে ভোট দিতে চায়। কিন্তু এই সরকারের অধীনে আর দিনে ভোট হবে না।
এসময় ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম, সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান রিজু, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাখরুল ইসলাম নবাব, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন প্রমুখ।
Advertisement
আরএএএইচ/ইএ/জিকেএস