বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা পঞ্চম ধাপের অবরোধ চলছে। সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর টানা অবরোধের প্রভাব পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থাসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে। মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় রাজধানীর বিপণীবিতানগুলোতেও বিক্রি কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
Advertisement
বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নিউমার্কেট, সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত এলাকার প্রায় ১৯টির মতো মার্কেটে ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিন সরেজমিনে নিউমার্কেট এলাকায় দেখা যায়, রাস্তায় যানবাহনের পরিমাণ কম। সপ্তাহের প্রায় প্রতিটি দিন যেখানে এই এলাকায় যানজট লেগেই থাকে সেখানে এদিন রাস্তা ছিল অনেকটাই ফাঁকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা অবরোধের ফলে মার্কেটে ক্রেতা সমাগম কমেছে। বিক্রির পরিমাণও কম। এভাবে অবরোধ চলতে থাকলে দীর্ঘমেয়াদে তাদের ব্যবসা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
সাইন্সল্যাব মোড়ে প্রিয়াঙ্গন শপিং কমপ্লেক্সের কাপড় ব্যবসায়ী মনিরুল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রায় এক মাস ধরে ব্যবসা হচ্ছে না। আগের মতো ক্রেতা পাই না। কাপড়ের দাম কিছুটা বাড়তি, আবার ক্রেতাও কম। ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে আমাদের।’
Advertisement
আরও পড়ুন>> অর্থনীতির স্বার্থে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান এফবিসিসিআইয়ের সভাপতির
গ্লোব সুপার মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটেরও একই অবস্থা। ক্রেতার অভাবে দোকানে বসে অলস সময় পার করছেন অনেক ব্যবসায়ী। মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন বলেন, বেচাকেনা তো একেবারেই নেই। বসেই থাকি বেশিরভাগ সময়। অবরোধে ব্যবসার পরিস্থিতি আরও খারাপ। এভাবে যদি চলতে থাকে সামনে আমাদের টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে যাবে।’
নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ব্যবসা ভালো না। কাস্টমার কম এখন। কর্মচারীর বেতন দেওয়াই কষ্ট। অবরোধ তো চলছেই। আজ (বুধবার) আবার নির্বাচনের তফসিল। ব্যবসার পরিস্থিতি কী হয় সেটাই এখন চিন্তার বিষয়।’
তবে মার্কেটের তুলনায় এই এলাকার ফুটপাতের দোকানগুলোতে কিছুটা ভিড় দেখা গেছে। দামে কিছুটা কম হওয়ায় অনেকেই ফুটপাত থেকে কেনাকাটা করছেন। ফুটপাতের কাপড় ব্যবসায়ী রাকিব বলেন, ‘বেচাকেনা আছে মোটামুটি। অন্যদিন তো অনেক কাস্টমার থাকে। তবে আজ রিলাক্সে বিক্রি করতে পারছি। টুকটাক বিক্রি হচ্ছে।’
Advertisement
এদিকে অবরোধ ঘিরে নিউমার্কেট ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে। নাশকতা রোধে গাড়ি নিয়ে পুলিশকে টহল দিতেও দেখা যায়।
এনএস/ইএ/জিকেএস