সিরিয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। একই অভিযোগে আসাদের ভাই মাহের আল-আসাদ ও সিরিয়ার অন্য দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
Advertisement
বুধবার (১৫ নভেম্বর) ফ্রান্সের বিচার বিভাগীয় একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানায়।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় রুশ বিমান হামলা, নিহত ৩৪
রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের আগস্টে সিরিয়ার দোমা শহর ও পূর্ব ঘৌটা জেলায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর রাসায়নিক হামলার অভিযোগ ওঠে। সে সময় দেশটির ওই দুই এলাকায় সিরীয় সরকারি বাহিনীর হামলায় এক হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
Advertisement
আবার ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধের সময় বাশার-আল আসাদের বাহিনী দেশটিতে সরকারবিরোধীদের ওপর ব্যাপক দমন অভিযান চালায়। অভিযোগ ওঠে, তখনও বিদ্রোহীদের দমনে বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করেন আসাদ।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ফ্রান্সের আদালতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা করেছিল সিরিয়ান সেন্টার ফর ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন (এসসিএম) নামের একটি বেসরকারি সংস্থা।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া পুনর্গঠনে সাহায্য করবে চীন
সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও আইনজীবী মাজেন দারউইশ বলেছেন, ২০১৩ সালে ঘৌটায় রাসায়নিক অস্ত্র হামলার ঘটনা ঘিরে বাশার আল-আসাদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এটাই প্রথম আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা।
Advertisement
তবে সিরিয়া অর্থাৎ বাশার আল-আসাদ শুরু থেকেই ঘৌটায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। কিন্তু জাতিসংঘ ও অর্গানেইজেশন ফর দ্য প্রোহিবিশন অব কেমিক্যাল উইপনসের যৌথ তদন্তে ২০১৭ সালের এক হামলায় বিষাক্ত সারিন গ্যাস ব্যবহার করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, সিরিয়ার সরকার নিষিদ্ধঘোষিত ক্লোরিনও অস্ত্র হিসেবে বার বার ব্যবহার করেছে বলে ওই তদন্তে উঠে আসে।
আরও পড়ুন: সিরীয় বাহিনীর হামলায় ইদলিবে ফের গৃহহীন ৫ লক্ষাধিক
এর আগে, গত অক্টোবরে ফরাসি বিচারকরা ২০১৭ সালের বোমা হামলার এক ঘটনার দায়ে সিরিয়ার সাবেক দুই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ান জারি করেছিলেন। সিরিয়ার দারা শহরের এক বাড়িতে ওই হামলায় সিরীয় বংশোদ্ভূত ফরাসি এক নাগরিক নিহত হন।
সূত্র: রয়টার্স
এসএএইচ