গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে নেদারল্যান্ডস- এমন অভিযোগে ডাচ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে চারটি মানবাধিকার সংগঠন। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে গাজায় সৃষ্ট পরিস্থিতির জন্য নেদারল্যান্ডসকে আংশিকভাবে দায়ী করে সংগঠনগুলো।
Advertisement
যৌথ বিবৃতিতে অক্সফাম নোভিব, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, প্যাক্স ও দ্য রাইটস ফোরাম বলে, গাজায় যুদ্ধ আইন লঙ্ঘন ও বেসামরিক নাগরিকদের ভোগান্তির জন্য নেদারল্যান্ডসও আংশিক দায়ী। বিশেষ করে, ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাওয়ার তীব্র নিন্দা জানায় সংগঠনগুলো।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র: এরদোয়ান
ওই চারটি সংগঠন নেদারল্যান্ডস সরকারকে দেশটির নীতি কাঠামো, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী কাজ করার দাবি জানায়।
Advertisement
অক্সফাম নোভিবের পরিচালক মিচিয়েল সারভায়েস বলেন, ত্রাণ সংস্থাগুলো গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ত্রাণ সরবরাহ করতে চায়। কিন্তু অনবরত গোলাবর্ষণের কারণে, তা সম্ভব হচ্ছে না। অবিশ্বাস্য হলেও এ বোমাবর্ষণের পেছনে নেদারল্যান্ডসের সামরিক সহযোগিতা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলকে সামরিক সহযোগিতা দেওয়া থামাতে হবে। আমাদের জন্য আদালতে যাওয়া হবে একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ, কিন্তু দুঃখজনক হলেও আর কোনো উপায় নেই।
আরও পড়ুন: গাজায় সবচেয়ে বড় হাসপাতালে ইসরায়েলের অভিযান
নেদারল্যান্ডসের বৃহত্তম শান্তি সংগঠন প্যাক্সের পরিচালক মার্টজে ভ্যান নেস বলেন, অস্ত্র রপ্তানির জন্য আমাদের দেশের কঠোর মূল্যায়ন কাঠামো রয়েছে। নেদাল্যান্ডসের সামরিক পণ্যগুলো মানবাধিকার বা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনে ব্যবহৃত হতে পারে, এসব ক্ষেত্রে অস্ত্র রপ্তানি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
Advertisement
মার্টজে ভ্যান নেস আরও বলেন, স্পষ্ট সতর্কতা দেওয়া সত্ত্বেও সরকার ইচ্ছা করে আইনের বিরুদ্ধে গিয়েছে। এজন্য তারা গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার পেছনে আংশিক দায়ী।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক ডাগমার ওডশুর্ন বলেন, নেদারল্যান্ডস সরকার তাদের সব বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে ও ইসরায়েলে অস্ত্র-সরঞ্জাম সরবরাহ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে পড়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা, যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলা
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এরপর থেকে গাজায় প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এ পর্যন্ত ১১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
এসএএইচ