দেশজুড়ে

একজনের জায়গায় থাকছেন তিন বন্দি, দুর্ভোগ চরমে

ফরিদপুর জেলা কারাগারে বেড়েছে বন্দির সংখ্যা। বর্তমানে এ সংখ্যা ধারণক্ষমতার চেয়ে তিনগুণ। যে কারণে একজন বন্দির জায়গায় থাকতে হচ্ছে তিনজনকে। এতে বেড়েছে দুর্ভোগের মাত্রা। রাতে ঘুমানো, শৌচাগার ব্যবহারসহ নানা ক্ষেত্রে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বন্দিদের।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুর জেলা কারাগারটি ১৮২৫ সালে স্থাপিত। এর অবস্থান শহরের প্রাণকেন্দ্র মুজিব সড়কের দক্ষিণ পাশে। কারাগারটিতে একটি ছয়তলা ভবন রয়েছে। ভবনটির নাম ‘পদ্মা’। এ পদ্মা ভবনেই বেশিরভাগ বন্দিকে রাখা হয়। এছাড়া পুরোনো আরেকটি দোতলা ভবন রয়েছে ‘মেঘনা’ নামে। পুরোনো এ ভবনটির দোতলা অনেক আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ভবনের নিচতলায় কিছু বন্দি রাখা হয়।

রয়েছে একটি মহিলা ও একটি মেডিকেল ওয়ার্ড। টিনশেডের একটি ওয়ার্ড রয়েছে, যেখানে কয়েদিদের রাখা হয়। কারাগারটিতে বর্তমানে নারী ও পুরুষ মিলে হাজতির সংখ্যা ৭৪৫ জন এবং কয়েদি রয়েছেন ৪১০ জন।

জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর জেলা কারাগারটিতে মোট বন্দি ধারণক্ষমতা ৪১৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৩৯১ ও নারী ২৪ জন। রোববার (১২ নভেম্বর) কারাগারটিতে এক হাজার ১৫৫ জন বন্দি ছিলেন, যা ধারণক্ষমতার প্রায় তিনগুণ।

Advertisement

গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে গড়ে প্রায় প্রতিদিনই বন্দির সংখ্যা বেড়েছে। ২৮ অক্টোবরের আগে প্রতিদিন গড়ে ৩০ জনের মতো নতুন বন্দি আসতেন এ কারাগারে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৫০-৬০ জন বন্দি আসছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর জেলা কারাগারের জেলার মো. তারেক কামাল বলেন, কারাগারে বন্দির সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে চাপ বেড়েছে। জেল কোড অনুযায়ী একজন বন্দির জন্য ৩৬ বর্গফুট জায়গা বরাদ্দ রয়েছে। বর্তমানে সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় একজন বন্দির জায়গায় তিনজনকে রাখতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে কারাগারে আবাসন সংকট রয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য মেঘনা ভবনটি অপসারণ করে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। নতুন ভবন নির্মিত হলে আবাসন সংকট থাকবে না।

এন কে বি নয়ন/এসআর/এমএস

Advertisement