দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের নামে যে অভিযোগ গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তার সত্যতা নেই বলে জানিয়েছে বিএনপি। দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলছেন, এটি তার বিরুদ্ধে চক্রান্তের অংশ।
Advertisement
রিজভী বলেন, ড. মঈন খান একজন বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। সারাদেশের মানুষের কাছে তিনি সম্মানের। তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। আমি এ ধরনের কোনো চিঠিতে স্বাক্ষর করিনি। এটি ভুয়া স্বাক্ষর। এ ধরনের কার্যকলাপে নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। এটি জঘন্য মিথ্যাচার।
মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ১ সেপ্টেম্বর আব্দুল মঈন খান নিজের এবং বান্ধবীর পছন্দ অনুযায়ী গুটি কয়েক সংবাদ কর্মী নিয়ে নৈশভোজের আয়োজন করে সাংবাদিকদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছেন যা দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থি। নিজের এক বান্ধবীর কারণে মঈন খানের নৈশভোজের আয়োজন। নৈশভোজ সফল হওয়ায় ওই বান্ধবীকে তিনি পাঁচ লাখ টাকা নগদ উপহারও দিয়েছেন।
গত ১ অক্টোবরের ওই অভিযোগপত্রে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সিলসহ সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘ঘটনাটা বিব্রতকর ব্যবস্থা নেয়া দরকার’। দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নামে সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘বিষয়টা স্পর্শকাতর খতিয়ে দেখা হোক’।
Advertisement
বিষয়টি নিয়ে শায়রুল কবির খান মিডিয়া সেলে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়েছেন। তাতে বলেছেন, একটি চিঠি মেইল কে বা কারা করেছেন আমি জানি না। দয়া করে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না, আমি কিছু জানি না।
শায়রুল বলেন, চিঠিটা দেখে অবাক হয়েছি। বলার ভাষা হারিয়ে ফেলছি। এ সময়ে এরকম নোংরামি, ষড়যন্ত্র? আমি জোর দাবি জানাচ্ছি, এ ধরনের নোংরামি ও ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থাকার জন্য। যে বা যারা এ ধরনের নোংরামি ও ষড়যন্ত্রমূলক কাজ করছেন তারা সুস্থ মস্তিষ্কের কোনো মানুষ হতে পারেন না। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, কয়েক দিন পূর্বেও এরকমই ষড়যন্ত্রমূলক একটি চিঠি সব সাংবাদিকের কাছে মেইল করা হয়েছিল। তখন আমি নিজেও প্রতিবাদ জানিয়েছি। দলের পক্ষ থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ভাই বিবৃতি দিয়েছেন।
শায়রুল আরও বলেন, যখন ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার এক দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন সংগ্রামে সমগ্র জনগোষ্ঠী এক কাতারে। তখন এ ধরনের ষড়যন্ত্রমলক কোনো কাজেই বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী শক্তি কোনো ক্রমেই বিভ্রান্ত হবে না। আমি আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ করছি দয়া করে বিষয়টি অতি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেবেন।
Advertisement
কেএইচ/এসএনআর/জেআইএম