প্রবাস

রোমানিয়ায় ২৪ বাংলাদেশিসহ ৮৬ অভিবাসী আটক

রোমানিয়া থেকে হাঙ্গেরিতে প্রবেশের চেষ্টার সময় ৮৬ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। অভিবাসীরা বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিক বলে জানা গেছে।

Advertisement

দুটি আলাদা বিবৃতিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে রোমনিয়া সীমান্ত পুলিশ। সোমবার (১৩ নভেম্বর) বর্ডার পুলিশ জানায়, রোববার আনুমানিক রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে নাদলাক-২ সীমান্তে একটি মালবাহী লরিতে লুকিয়ে থাকা ৫২ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। গাড়িটির ২৬ বছর বয়সী রোমানীয় চালক রোমানিয়া-ইতালি রুটে ফ্রিজ বহন করার তথ্য দিয়েছিল।

অভিবাসীদের সবার বয়স ২০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে এবং তারা বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালের নাগরিক বলে শনাক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। তারা লরিতে লুকিয়ে পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলোতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন। তাদের সবাই বৈধ কাজের ভিসায় রোমানিয়ায় আসেন।

রোববার (১২ নভেম্বর) প্রকাশিত আরেকটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সীমান্ত পুলিশ জানিয়েছে, একটি ট্রাক এবং আরেকটি কোচের ভেতর থেকে ৩৪ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা অনিয়মিতভাবে সীমান্ত পাড়ি দিতে চেয়েছিলেন।

Advertisement

প্রথম গাড়িটি ছিল একটি বিশেষভাবে সাজানো ট্রাক। একজন লিথুয়ানিয়ান নাগরিক গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। সেখান থেকে ২৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে উদ্ধার করে আটক করা হয়। তাদের সবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে রোমানিয়া এসেছিলেন।

দ্বিতীয় গাড়িটি একটি যাত্রীবাহী কোচ। সেখান থেকে শ্রীলঙ্কা এবং ভারতের ১০ জন নাগরিককে শনাক্ত করা হয়। গাড়িটি একজন ইউক্রেনীয় নাগরিক এবং একজন ভারতীয় নাগরিক পালা করে চালাচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে তারা রোমানিয়া-স্পেন রুটে পণ্য পরিবহনের তথ্য দিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযুক্তরা সেটির পরিবর্তে অভিবাসী পাচারে যুক্ত হয়েছিলেন।

অভিযানে আটক চালকদের বিরুদ্ধে অভিবাসী পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে, সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে আটক হওয়া অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সীমান্ত অতিক্রম করার অভিযোগ তদন্তাধীন।

রোমানিয়া দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপের মুক্ত চলাচলের অঞ্চল শেঙ্গেন জোনে প্রবেশের জন্য চেষ্টা করে আসছে। ২০২২ সালের শেষদিকে ক্রোয়েশিয়ার আবেদন গ্রহণ হলেও বাতিল হয়েছে রোমানিয়া ও বুলগেরিয়ার আবেদন।

Advertisement

ইইউর শর্তপূরণে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন ভিসা নিয়ে আসা অভিবাসীদের ওপর বেশ কড়া নজরদারি রাখে রোমানিয়া।

শেঙ্গেন জোনে ঢুকতে মরিয়া রোমানিয়া। তাই সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা বজায় রেখে ইইউর দেশগুলোর সম্মতি পেতে চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে এনজি ও অভিবাসন বিষয়ক সংস্থাগুলো।

এমআরএম/এএসএম