ক্যাম্পাস

ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি পেলেন ১৯ শিক্ষা

ঢাকা ইউনির্ভাসিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত বিভিন্ন ট্রাস্ট ফান্ডের মেধাবৃত্তি পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১৯ জন মেধাবী শিক্ষার্থী। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় অ্যালামনাই ফ্লোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বৃত্তিপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রকীবউদ্দীন আহমেদ, মহাসচিব দেওয়ান রাশেদুল হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার, দফতর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মাইকেল, মানবজমিন পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কে এম বাবর আশরাফুল হক, হামীম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য একে আজাদসহ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।৯টি ট্রাস্ট ফান্ড থেকে মোট ১৯ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। ট্রাস্ট ফান্ডগুলো হলো- ডিইউএএ-মতিউর রহমান ট্রাস্ট ফান্ড, ডিইউএএ-বেদুইন শামস-রাজিয়া খাতুন ট্রাস্ট ফান্ড, ডিইউএএ-আশ্রাফউদ্দীন ট্রাস্ট ফান্ড, ডিইউএএ-অস্ট্রেলিয়া মেরিট বৃত্তি, ডিইউএএ-রওশন আরা রহমান ট্রাস্ট ফান্ড, ডিইউএএ-রিনা চৌধুরী-মুনিবুর রেজা চৌধুরী ট্রাস্ট ফান্ড, মোহাম্মদ আশরাফুল করিম ট্রাস্ট ফান্ড, জরহাম আলী মোগল ট্রাস্ট ফান্ড ও মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার ট্রাস্ট ফান্ড।বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ফার্মেসি বিভাগের নুসরাত জাহান (৪র্থ  বর্ষ), প্রাণ রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অভিজিৎ দাস (৪র্থ বর্ষ), মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের মো. রহমত আলী (৪র্থ বর্ষ), কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের মো. সাদমান তৌসিফ ইসলাম (৪র্থ বর্ষ), জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের নাফিসা নাওয়াল ইসলাম, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের মো. সোহেল হাওলাদার (২য় বর্ষ), ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের মো. আমির হামজা (৩য় বর্ষ), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শহীদুল ইসলাম (৩য় বর্ষ), লোক প্রশাসন বিভাগের উম্মে হাবিবা তমা (১ম বর্ষ), আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মো. আবছার আলী (১ম বর্ষ), তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের কারিমা আকতার লিজা (৪র্থ বর্ষ), গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নাজমা আক্তার (২য় বর্ষ), অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. রাকিবুল ইসলাম হিমন (২য় বর্ষ), বাংলা বিভাগের কানিজ ফাতেমা (এম.ফিল), রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আবু সুফিয়ান ও জান্নাতুন্নেছা, মার্কের্টিং বিভাগের মো. রনি মোল্লা, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের তৃপ্তি রানী ঘোষ (১ম বর্ষ) ও মো. তারেকুর রহমান (২য় বর্ষ)।বৃত্তি প্রদানের পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হল সামাজিক প্রতিষ্ঠান। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনও সামাজিক প্রতিষ্ঠান। এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো সমাজ বদলে কাজ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন শুধু মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছে না। তাদের সচেতনও করে তুলছে। তিনি আরো বলেন, যেকোনো সমাজকে উন্নত করতে হলে তিন ধরনের ক্যাপিটালের প্রয়োজন। ১. ফিজিক্যাল ক্যাপিটাল, ২. অর্থনৈতিক ক্যাপিটাল। এই দুই ধরনের ক্যাপিটালের ক্ষেত্রে ধার-দেনা করেও চালিয়ে নেয়া যায়। তিন নম্বর ক্যাপিটালটি হলো- সোশ্যাল ক্যাপিটাল। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার ২টি অংশ রয়েছে। স্কিল এবং নৈতিকতা।অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন বলেন, উন্নত বিশ্বে স্কলারশিপের টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করবে, পরে চাকরি করলে সেই টাকা ফেরত দিয়ে দেবে। সে টাকা দিয়ে আরেকক শিক্ষার্থীকে পরবর্তীতে বৃত্তি দেয়া যাবে। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য লোন ব্যবস্থাও থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন।স্বাগত বক্তব্যে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রকীবউদ্দীন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী অথচ আর্থিকভাবেব অসস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। যাতে তারা সাবলীলভাবে নিজেদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। ঢাকা ইউনির্ভাসিটি অ্যালানাই অ্যাসোসিয়েশনের মূল লক্ষ্য হলো দায় মোচানো করা। এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের মায়ের মতো। এই দায়বদ্ধতা থেকেই স্বল্প পরিসরে এই বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। আশা করি ভবিষষ্যতে এই বৃত্তির পরিমাণ আরো বাড়বে। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব দেওয়ান রাশেদুল হাসান।এমএইচ/এসএইচএস/এবিএস

Advertisement