বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দুই পাশে রাখা লোহার ব্যারিকেড (রোডব্লক) সরিয়ে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে এ ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখনও তালাবদ্ধ। পুলিশের অতিরিক্ত সদস্যও মোতায়েন রয়েছে। অবশ্য এ মুহূর্তে বিএনপি কার্যালয়ের ঠিক সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য নেই। তারা কার্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ভিক্টরি হোটেলের গলিতে এবং শ্রিংলা ইন রেস্টুরেন্টের সামনে অবস্থান করছেন।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এরপর থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশের কলাপসিবল গেট বাইরে থেকে তালাবদ্ধ। তখন থেকেই কার্যালয় কার্যত পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। বিএনপি কার্যালয় ও এর আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। পর্যায়ক্রমে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা তারা সেখানে অবস্থান করছেন। এছাড়া গত ৮/১০ দিন আগে কার্যালয়ের সামনে লোহার ব্যারিকেড আনা হয়।আরও পড়ুন: বিএনপির অফিসে পুলিশ তালা মারেনি: ডিএমপি কমিশনার
এদিকে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ও এর আশপাশের এলাকা থেকে গত কয়েকদিনে দলটির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Advertisement
এমন অবস্থার মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। এরপরই বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে লোহার ব্যারিকেড সরিয়ে নিলো পুলিশ।
আজ সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অবরোধে নাশকতায় আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ তালা মারেনি, তারা নিজেরাই তালা মেরে রেখেছে এবং তারা এখন সেখানে আসে না। কেন আসে না- সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে। আমাদের পুলিশ সেখানে সবসময়ই থাকে নিরাপত্তার জন্য। মাসের ৩০ দিনই সেখানে পুলিশ প্রহরায় থাকে, একইভাবে এখনও সেখানে পুলিশ আছে।আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে নেই নেতাকর্মীদের আনাগোনা, বিএনপির কার্যালয়ে এখনো তালা
তিনি আরও বলেন, তারা (বিএনপি নেতাকর্মীরা) যদি এখানে আসে, অফিস খুলে কার্যক্রম চালায়- আমাদের কোনো আপত্তি নেই বা কখনোই ছিল না।
কেএইচ/জেএইচ/এমএস
Advertisement