হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু করার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার (১৩ নভম্বের) ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন সতর্কবার্তা দেন।
Advertisement
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, গত কয়েক দিনে ইসরায়েল ও লেবাননের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে ‘পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ’ শুরুর শঙ্কা বেড়ে গেছে। আর লেবাননের সঙ্গে যদি পূর্ণাঙ্গ সংঘাত শুরু হয় তাহলে আমরা হিজবুল্লাহর সব শক্তিশালী ঘাঁটি ধ্বংস করে দেবে।
আরও পড়ুন: হামাসকে নির্মূল করতে পারবে না ইসরায়েল: হিজবুল্লাহ
গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। তবে গত কয়েক দিনে সীমান্ত অঞ্চলে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করেছে।
Advertisement
রোববার (১২ নভেম্বর) হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের সেনা সদস্যসহ অন্তত ৭ জন আহত হন। জবাবে দক্ষিণ লেবাননে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: লেবাননে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পরদিন থেকেই প্রতিদিন ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে ছোটবড় সংঘর্ষ চলছে হিজবুল্লাহর। ফলে গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ৭০ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তাছাড়া ইসরায়েলের হামলায়ে লেবাননের বেসামরিক নাগরিকও প্রাণ হারিয়েছেন। তবে উভয়পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলা অনেকাংশে সীমান্ত এলাকার মাঝে সীমিত রয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন: লেবানন-ইরাক থেকে ইসরায়েলে হামলা
হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ চলতি সপ্তাহে দেওয়া এক ভাষণে বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সীমান্ত এলাকা ও সামরিক চৌকিতে হামলা বন্ধ না করলে বৈরুতকে গাজার মতো ধ্বংসস্তূপে পরিণতি করা হবে।
সূত্র: আল জাজিরা
এসএএইচ