জাতীয়

প্রচলিত কাজেও প্রশিক্ষণ-পরামর্শক রাখার প্রস্তাব, ব্যয় ৩৪২ কোটি

দেশে সড়ক, ব্রিজ বা কালভার্ট, ফুটপাত, ড্রেন নির্মাণ, সড়কবাতি স্থাপন নতুন কিছু নয়। পাশাপাশি বাস টার্মিনাল, মার্কেট নির্মাণ, পার্ক নির্মাণকাজ চলছে অহরহ। স্বাধীনতার সূচনালগ্ন থেকেই নানা প্রকল্পের আওতায় এসব কাজ হচ্ছে দেশব্যাপী। অথচ এ প্রচলিত কাজের জন্য প্রস্তাবিত এক প্রকল্পের আওতায় দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শক খাতে ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে প্রায় ৩৪২ কোটি টাকা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) এমন প্রস্তাবে প্রশ্ন তুলেছে পরিকল্পনা কমিশন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের এ মুহূর্তে এমন প্রচলিত কাজে অতিরিক্ত ব্যয় বাদ দিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে খরচ নামিয়ে আনার সুপারিশ করেছে কমিশন।

Advertisement

বর্তমানে দেশের শহরগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে জনসংখ্যা। পাশাপাশি গ্রাম পর্যায়ে নাগরিক সেবার মান বাড়াতে নানান প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। দেশের নগর পরিষেবাসমূহের অবকাঠমোগত উন্নয়নে ৫ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘নগর ও আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্প’ প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ওই প্রকল্পে বিদেশে প্রশিক্ষণ নিতে ৫ কোটি টাকা এবং দেশে প্রশিক্ষণ খাতে ২০ কোটি টাকা ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্পের পরামর্শক খাতে প্রায় ৩১৭ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করেছে এলজিইডি।

আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন যাবে মাগুরা, ভূমি অধিগ্রহণেই আরও ৪০ কোটি 

স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রস্তাবিত এ প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি সভা করে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি)। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। সভায় প্রকল্পের নানান খাতের ব্যয় কমানোর সুপারিশ করা হয়।

Advertisement

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের যুগ্মপ্রধান (ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন উইং-২) আবু মো. মহিউদ্দিন কাদেরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘এলজিইডির প্রস্তাবিত প্রকল্প নিয়ে পিইসি সভা হয়েছে। ব্যয় কমানোর জন্য আমরা দফায় দফায় বৈঠক করি। কিছু সুপারিশও দিয়েছি, চেষ্টা করছি ব্যয় কমানোর। ব্যয় কমানোর সুযোগ থাকলে আমার বিশ্বাস ব্যয় কমাবে তারা। যতটুকু ব্যয় কমবে ততই ভালো। তবে যারা প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠায় তাদেরও কিছু শর্ত থাকে। সেসব শর্ত অনুসরণ করেই তারা প্রকল্পের প্রস্তাব করে।’

 

সড়ক, ব্রিজ, ফুটপাত, পার্ক নির্মাণ এলজিইডির নিয়মিত কাজ। তাই এসব কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বৈদেশিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই। ফলে প্রকল্প থেকে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ বাদ দিতে বলেছে সংস্থাটি।

 

প্রস্তাবিত এ প্রকল্পের আওতায় সড়ক, ব্রিজ বা কালভার্ট, ফুটপাত, ড্রেন নির্মাণ করা হবে। একই সঙ্গে প্রকল্পের কাজের মধ্যে রয়েছে বাস টার্মিনাল, মার্কেট নির্মাণ, সড়কবাতি স্থাপন, পার্ক নির্মাণ ইত্যাদি। অহরও করা হলেও একই কাজ শিখতে প্রকল্পটির আওতায় বিদেশে প্রশিক্ষণে ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৫ কোটি টাকা। এছাড়া পরামর্শক খাতে চাওয়া হয়েছে প্রায় ৩১৭ কোটি টাকা, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিকল্পনা কমিশন।

আরও পড়ুন: উন্নয়ন কাজে বৈদেশিক ঋণের পালে হাওয়া 

Advertisement

প্রকল্পটিতে বিদেশে প্রশিক্ষণ খাতে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়ার বিষয়ে কমিশন বলছে, সড়ক, ব্রিজ, ফুটপাত, পার্ক নির্মাণ এলজিইডির নিয়মিত কাজ। তাই এসব কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বৈদেশিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই। ফলে প্রকল্প থেকে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ বাদ দিতে বলেছে সংস্থাটি।

পরামর্শক খাতে ৩১৬ কোটি টাকা ব্যয় প্রস্তাবের বিষয়েও একই কথা বলছে পরিকল্পনা কমিশন। তারা বলছে, পরামর্শক খাতে প্রায় ৩১৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সাধারণত পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের সড়ক, ব্রিজ বা কালভার্ট, ফুটপাত, ড্রেন নির্মাণ, সড়কবাতি স্থাপনের কাজ করে। সে অভিজ্ঞতার আলোকে প্রস্তাবিত প্রকল্পের কার্যক্রমগুলো সম্পন্ন করা সম্ভব। ফলে প্রকল্পে এত সংখ্যক বিদেশি ও দেশি পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাবে যৌক্তিকতা আছে কি না জানতে চেয়েছে কমিশন। অতিপ্রয়োজনীয় পরামর্শক রাখার প্রস্তাব করে পরামর্শক খাতের ব্যয় যথাযথভাবে কমাতে বলেছে সংস্থাটি।

প্রকল্পে অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ বাবদ প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব প্রশিক্ষণ কাদের দেওয়া হবে এবং প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না সেটাও জানতে চেয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।

এসব অপ্রয়োজনীয় ব্যয় প্রস্তাবের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, ‘আমরা একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি করেছি। তারা প্রকল্পটি যাচাই-বাছাই করবেন, এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিদেশে প্রশিক্ষণ বা পরামর্শক লাগবে কি না, লাগলেও কতটা লাগবে- এসব বিষয় দেখা হবে।’

আরও পড়ুন: মডেমে ‘অপচয়’ সাড়ে ৩ কোটি, সংযোগ ছাড়াই ইন্টারনেট বিল ১৯ লাখ! 

তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটি ৮৫ পৌরসভায় বাস্তবায়ন করা হবে। পৌরসভা এবং এলজিইডির সমন্বয়ে চলবে বাস্তবায়ন। পৌরসভাগুলোর এখনো সেই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়নি। তাই পরামর্শকের কিছুটা প্রয়োজন আছে।’

 

প্রকল্প অনুমোদনের আগে বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। আগে নেওয়া এ ধরনের প্রকল্প থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় গাড়ি কেনার যৌক্তিকতা আছে কি না- তাও জানতে চেয়েছে কমিশন।

 

সহনশীল নগর পরিষেবা বাড়ানো প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। একই সঙ্গে নির্বাচিত অর্থনৈতিক করিডোরে আঞ্চলিক পর্যায়ে বিনিয়োগের সুবিধা বিস্তৃত করা।

প্রকল্পের বিষয়ে প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম জনবহুল ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। দেশের ১৬ কোটি ৯৪ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ শহরাঞ্চলে বাস করে। বিগত দুই দশকে উন্নতভাবে বসবাসের জন্য গ্রাম থেকে শহরে আসা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। শহরে বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য নগর পরিষেবাসমূহের অবকাঠামোগত উন্নয়ন একান্ত অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। বর্তমানে নগরের জনসংখ্যা ১৯৭১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৮ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩৮ দশমিক ৯৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তবে নগরের জনসংখ্যা ৩৮ দশমিক ৯৫ শতাংশে হলেও জিডিপিতে তাদের অবদান ৬০ শতাংশের বেশি। নগর এলাকায় শ্রমের উৎপাদনশীলতা গ্রামীণ এলাকার তুলনায় অনেক বেশি। বর্তমানে দ্রুত নগরায়ণের ফলে বাংলাদেশের শহর ও নগরসমূহ অবকাঠামো ও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। এছাড়া সামাজিক অবকাঠামোসমূহের অবস্থাও ভালো নয়। ফলে নগর সেবা প্রদান, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে নগর উন্নয়ন সূচক হয়ে পড়েছে অদক্ষ। উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও নগর সম্প্রসারণের ফলে প্রাকৃতিক ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চলগুলোতে নগর পরিষেবা এবং অবকাঠামোর ঘাটতির মধ্যে ব্যবধান ক্রমাগত বাড়ছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ঋণ বিতরণ ও প্রতিশ্রুতিতে জাইকার রেকর্ড 

প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, বাংলাদেশ একটি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান নেতিবাচক প্রভাবে (ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, অল্প সময়ের মধ্যে ভারী বর্ষণ, নগরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বর্ষা) বিপুল সংখ্যক মানুষ, বিশেষ করে দরিদ্র ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠী স্থানান্তরিত হচ্ছে। খরার কারণে কৃষিকাজও ক্ষতি হচ্ছে। দেশে জলবায়ুসহ আরও অনেক বিষয়ে ঝুঁকি রয়েছে। পাশাপাশি দ্রুত নগরায়ণ বৃদ্ধি উন্নয়নের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। বাংলাদেশের নগরগুলোর জীর্ণ অবকাঠামো, অপর্যাপ্ত সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, যানজট, পরিবেশ দূষণ একটি স্বাভাবিক চিত্র। উন্নত জীবনযাপনের জন্যও এসব বড় বাধা। বস্তিগুলো দেশের নগর জীবনের জন্য অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠলেও সেখানে নেই পর্যাপ্ত নাগরিক সুবিধা। এসব বিবেচনায় এনে ৫ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। চলতি বছরের (২০২৩ সালের) জুলাই থেকে ২০২৯ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পে ৫ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দেবে বিশ্বব্যাংক। বাকি প্রায় এক হাজার ৬৮১ কোটি টাকা দেবে সরকার।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ৫৯১ কোটি টাকায় ৩ হাজার ৭৪৬টি সম্পদ (গাড়ি, কম্পিউটার ইত্যাদি) সংগ্রহ, এক হাজার ৫৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৫০ কিলোমিটার নগর সড়ক উন্নয়ন, এক হাজার ১১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৪৫ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুই হাজার মিটার ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ, ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ, ১৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৯৫ কিলোমিটার সড়কবাতি স্থাপন। এছাড়া ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি বাস টার্মিনাল নির্মাণ, ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি কিচেন মার্কেট নির্মাণ, ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি পৌর সুপার মার্কেট নির্মাণ, ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা হবে।

প্রকল্পের আওতায় ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ হাজার ৫০০ মিটার রোড প্রটেকটিভ ওয়ার্কস বা রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ, ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৫টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মিউনিসিপাল বিল্ডিং নির্মাণ, ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি পার্ক বা পাবলিক প্লেস উন্নয়ন, ৬১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৫টি ইউএলবি পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণে রাখা হয়েছে ৬০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: সুবিধা দিতে গিয়ে নাগরিক ভোগান্তি বাড়ালো ডিএসসিসি 

তবে, প্রকল্পটি অনুমোদনের আগে বেশকিছু বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। আগে নেওয়া এ ধরনের প্রকল্প থেকে শিক্ষা নিয়ে সেগুলোর দুর্বলতা যেন নতুন প্রকল্পে না থাকে এ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় গাড়ি কেনার যৌক্তিকতা আছে কি না- তা জানতে চেয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।

প্রকল্পের আওতায় অফিস সরঞ্জামাদি হিসেবে ৪০০ সেট কম্পিউটার কেনা বাবদ খরচ ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এছাড়া ২০টি ল্যাপটপ বাবদ ৪০ লাখ টাকা, ১৮টি মাল্টি ফাংশন প্রিন্টার বাবদ ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। প্রকল্পে ১০০ ফটোকপিয়ার বাবদ ২ কোটি টাকা, ১২টি প্রজেক্টর ক্রয় বাবদ ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার প্রস্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে এলজিইডির দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ৩৯০ সেট কম্পিউটার বাবদ ৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা, একটি মাল্টি ফাংশন প্রিন্টার বাবদ এক লাখ টাকা, ফার্নিচার বাবদ ৮০ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব যন্ত্রপাতি এবং ফার্নিচার ক্রয়ের যৌক্তিকতা জানতে চেয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।

এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা, ডিজাইন ও গবেষণা ইউনিট) মো. নূর হোসেন হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সব প্রকল্পেই প্রশিক্ষণ রাখা হচ্ছে। এটা খারাপ কিছু নয়, এটা চলমান বিষয়। সামনে নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে। এসব কারণেই আমি মনে করি প্রশিক্ষণ থাকাটা ভালো।’

এমওএস/কেএসআর/জিকেএস