দেশজুড়ে

পাখিদের অভয়ারণ্য অরুণিমা রিসোর্ট

পাখিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে নড়াইলের অরুণিমা রিসোর্ট। দেশী-বিদেশি নানা প্রজাতির পাখির কলকাকলিতে সারাবছর মুখর থাকে এ রিসোর্ট। নানা রঙের পাখি দেখে মুগ্ধ হন এখানে আসা দর্শনার্থীরা।

Advertisement

সরেজমিনে দেখা যায়, রিসোর্টের লেকে ঝাঁকে ঝাঁজে উড়ে আসছে পরিযায়ী পাখি। ছোট-বড় গাছে কিচিরমিচির করছে হাজার হাজার দেশীয় প্রজাতির পাখি। নৌকায় করে পাখিদের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছেন অনেক দর্শনার্থী। সন্ধ্যায় লেকে পাখিদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সূর্যের লাল আভায় পাখিদের উন্মাদনা ক্যামেরাবন্দি করতে দেখা গেছে অনেককে।

ঢাকা থেকে দুদিন আগে সপরিবারে অরুণিমায় ঘুরতে এসেছেন আফসানা আক্তার। গাছপালা, ফুল-পাখি দেখে ভালো লেগেছে। পাখিদের আনাগোনা হৃদয়কাড়া। এতো পাখি দেশের কোথাও দেখিনি। পাখির কিচিরমিচির আওয়াজে মুগ্ধ হচ্ছি।

মো. তাফসির নামের আরেক পর্যটক বলেন, শহরে যান্ত্রিকতার মধ্যে বসবাস করি। মনোরম পরিবেশ বলতে যা বোঝায় সেটি শহরে পাওয়া যায় না। এখানে প্রাকৃতিক পরিবেশের পাশাপাশি প্রচুর পাখি দেখতে পাচ্ছি।

Advertisement

এফ এম আজগর আলী নামের এক স্কুলশিক্ষক জানান, পানকৌড়িসহ নানা প্রজাতির পাখি দেখে মুগ্ধ হচ্ছি। প্রাকৃতিক পরিবেশে পাখিদের কলরব মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে।

অরুণিমা রিসোর্টের ম্যানেজার মুনিব খন্দকার বলেন, বছরের ৯-১০ মাস এখানে বিভিন্ন দেশী-বিদেশি পাখির আগমন ঘটে। শীতকালে বেড়ে যায়। পাখিদের বিচরণ মানুষ মুগ্ধ চোখে অবলোকন করেন।

ওই রিসোর্টের চেয়ারম্যান খবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের আর কোনো রিসোর্ট এরকম পাখি দেখা যায় না। পাখিদের ঘর দিতে হয়, নিরাপত্তা দিতে হয়। তারা এখানে নিরাপদ। তাই এখানে দীর্ঘ সময় অবস্থান করছে তারা।

স্থানীয় জয়নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আইয়ুব হোসেন বলেন, এখানে দেশি-বিদেশি পাখিদের দেখতে দর্শনার্থীরা আসছেন। এটা আমরা আন্তরিকভাবে দেখি। তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করি। এ পানিপাড়া এলাকা পাখির জন্য সবার কাছে পরিচিত। এজন্য আমরা গর্ববোধ করি।

Advertisement

এ বিষয়ে কালিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুনু সাহা জাগো নিউজকে বলেন, এ রিসোর্টে প্রচুর পরিমাণে পরিযায়ী পাখি আসে। সেটা দেখার জন্য জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন। আমরা তাদের সার্বিক সহযোগিতা করে থাকি।

হাফিজুল নিলু/আরএইচ/এমএস