কুয়েতে আকাশছোঁয়া বাড়িভাড়া মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্নআয়ের অভিবাসী কর্মীরা। গড়ে তাদের আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশই খরচ হয়ে যাচ্ছে বাড়িভাড়ার পেছনে।
Advertisement
সরকারি হিসাবমতে, কুয়েতে প্রায় ৬২ শতাংশ অভিবাসী কর্মীর মাসিক আয় ১২৫ দিরহামেরও (প্রায় ৪৪ হাজার টাকা) কম। মাসে ৩২৫ থেকে ৪০০ দিরহাম (১ লাখ ১৬ হাজার থেকে ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা) রোজগার করেন ৩৩ শতাংশ অভিবাসী কর্মী।
আরও পড়ুন>> বাংলাদেশ থেকে দক্ষ টেকনিশিয়ান নেবে কুয়েত
এ অবস্থায় সীমিত আয়ের অভিবাসীরা, বিশেষ করে একা মানুষেরা কম খরচে বসবাসের জন্য ছোট ছোট জায়গা বেছে নিচ্ছেন। কখনো কখনো তারা চার-পাঁচজন মিলে একটি ঘরে থাকেন এবং ভাড়া ভাগাভাগি করে নেন।
Advertisement
এছাড়া হাজার হাজার মানুষ কুয়েতের বিভিন্ন অংশে বিভক্ত অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করছেন। দুই বা তিন কক্ষবিশিষ্ট অ্যাপার্টমেন্টগুলো ভাগ ভাগ করে ভাড়া দেওয়া হয়। এতে বাড়ির মালিকের যেমন অতিরিক্ত লাভ হয়, তেমনি প্রবাসীদের একটি বড় অংশও তুলনামূলক কম খরচে বসবাসের সুযোগ পান।
এটি এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে একটি জায়গা বা একটি অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরে অস্থায়ী পার্টিশন বসিয়ে ভাগ করে দেওয়া হয়। এর একেকটি অংশে এক বা দুইজন বাস করতে পারেন।
আরও পড়ুন>> কুয়েত প্রবাসীদের ই-পাসপোর্ট ফি কমলো
এগুলোর ভাড়ার পরিমাণ নির্ভর করে মূলত অ্যাপার্টমেন্টগুলো কোন এলাকায় অবস্থিত এবং বিভাজিত কোন অংশে থাকছেন তার ওপর।
Advertisement
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একটি রিয়েল এস্টেট সূত্র জানিয়েছে, অনেক এশীয় পরিবারই ভাড়ার খরচ কমানোর জন্য অস্থায়ী পার্টিশন দিয়ে বিভক্ত অ্যাপার্টমেন্ট শেয়ার করছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কুয়েত। আয়তনে ছোট হলেও তেলসমৃদ্ধ দেশটির অর্থনীতি বিশাল। আর এর প্রধানতম চালিকাশক্তিই হলো অভিবাসী কর্মীরা। কুয়েতের ৪৬ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৩২ লাখই হচ্ছেন অভিবাসী।
আরও পড়ুন>> এক ভিসায় ঘোরা যাবে মধ্যপ্রাচ্যের ৬ দেশ
তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে অভিবাসী কর্মী কমানোর দাবি জোরালো হচ্ছে। অভিবাসীরা কুয়েতের অবকাঠামোগুলোর ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করছে বলে অভিযোগ করছে কিছু মহল।
সূত্র: আল আনবা, গালফ নিউজকেএএ/