গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা এক বার্তায় স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা, লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশুসহ শত শত অসুস্থ ও আহত রোগী এবং হাসপাতালের ভেতরে থাকা বাস্তুচ্যুত লোকজনের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
Advertisement
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আবারও গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। যুদ্ধবিরতিকে জীবন বাঁচানো এবং দুর্ভোগের ভয়াবহ মাত্রা কমানোর একমাত্র উপায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: অবরুদ্ধ হাসপাতালে ২ নবজাতকের মৃত্যু, প্রাণশঙ্কায় আরও ৩৭
গুরুতরভাবে আহত এবং অসুস্থ রোগীদের টেকসই, সুশৃঙ্খল, নিরবচ্ছিন্ন এবং নিরাপদ চিকিৎসার আহ্বানও জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
Advertisement
এদিকে ইসরায়েলি অবরোধে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে গাজার আল-শিফা হাসপাতালে। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের চিকিৎসা। এরই মধ্যে দুই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালটিতে। প্রাণহানির ঝুঁকিতে রয়েছে আরও ৩৭ শিশু।
হাসপাতালটির পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া শনিবার (১১ নভেম্বর) জানিয়েছেন, হাসপাতালের ইনকিউবেটরগুলো সচল রাখার মতো জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে। এতে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে থাকা আরও ৩৭টি শিশুর জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে আমরা ৩৯ শিশুর মধ্যে দুজনকে হারিয়েছি। আমরা অপরিণত শিশুদের কথা বলছি, যাদের নিবিড় পরিচর্যা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গাজার হাসপাতালের রোগীরা
Advertisement
হাসপাতাল পরিচালক আরও জানান, শিশু দুটি উষ্ণতা ও অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে। আমরা এখন বাকিদের বাঁচিয়ে রাখতে প্রাচীন পদ্ধতি ব্যবহার করছি। তিনি বলেন, এখানে সকাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকবে। এরপর বিদ্যুৎ চলে গেলে বাকি নবজাতকরা অন্যদের মতোই মারা যাবে।
টিটিএন