ইসরায়েলি অবরোধে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে গাজার আল-শিফা হাসপাতালে। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের চিকিৎসা। এরই মধ্যে দুই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালটিতে। প্রাণহানির ঝুঁকিতে রয়েছে আরও ৩৭ শিশু। খবর আল-জাজিরার।
Advertisement
হাসপাতালটির পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া শনিবার (১১ নভেম্বর) জানিয়েছেন, হাসপাতালের ইনকিউবেটরগুলো সচল রাখার মতো জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে। এতে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে থাকা আরও ৩৭টি শিশুর জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে।
আরও পড়ুন>> জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গাজার হাসপাতালের রোগীরা
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে আমরা ৩৯ শিশুর মধ্যে দুজনকে হারিয়েছি। আমরা অপরিণত শিশুদের কথা বলছি, যাদের নিবিড় পরিচর্যা প্রয়োজন।
Advertisement
হাসপাতাল পরিচালক আরও জানান, শিশু দুটি উষ্ণতা ও অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে। আমরা এখন বাকিদের বাঁচিয়ে রাখতে প্রাচীন পদ্ধতি ব্যবহার করছি।
তিনি বলেন, এখানে সকাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকবে। এরপর বিদ্যুৎ চলে গেলে বাকি নবজাতকরা অন্যদের মতোই মারা যাবে।
আরও পড়ুন>> গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলের ‘যুদ্ধাপরাধ’ বন্ধের আহ্বান
আল-শিফা হাসপাতালের সার্জন মোহাম্মদ ওবেদ নবজাতকদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, বিদ্যুতের অভাবে ভেন্টিলেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একজন প্রাপ্তবয়স্ক রোগীও মারা গেছেন।
Advertisement
দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের (এমএসএফ) শেয়ার করা একটি অডিও রেকর্ডিংয়ে তাকে বলতে শোনা যায়, আমরা চাই, আমরা যেন রোগীদের সরিয়ে নিতে পারি তার গ্যারান্টি দিক কেউ। এখানে প্রায় ৬০০ রোগী রয়েছেন।
হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতালটি অবরোধ করেছে ইসরায়েলি সেনারা। হাসপাতাল থেকে বের হলেই তাদের গুলি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। হাসপাতালে অবস্থানরত কর্মীদের সঙ্গে সবধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
কেএএ/