ইসরায়েলি হামলায় গাজার হাসপাতালগুলোতে মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কারণ খুব কাছেই চলছে যুদ্ধ। এরই মধ্যে ফুরিয়ে গেছে জ্বালানি। বন্ধ হয়ে গেছে সেবা। তাই আতঙ্ক ও শঙ্কায় সময় কাটছে রোগী ও হাসপাতাল কর্মীদের। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বহু শিশু।
Advertisement
রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, আল-কুদস হাসপাতাল থেকে ইসরায়েলি ট্যাঙ্কের দূরত্ব ২০ মিটার বা ৬৫ ফুট। এখানে বাস্তুচ্যুতসহ ১৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি রয়েছেন।
আরও পড়ুন>গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত
এদিকে ভয়াবহ বিপর্যায়ের সম্মুখীন আল-সিফা হাসপাতাল। সেখানে সার্ভিস ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। মানবেতর জীবনযাপন করছেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ। যারাই সেখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হচ্ছে।
Advertisement
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে চার হাজারই শিশু। বিভিন্ন দেশের সমালোচনা-নিন্দার পরেও হামলা বন্ধ করছে না ইসরায়েল। জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন বার বার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও তাতে সাড়া দেওয়া হচ্ছে না।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে গাজার হাসপাতালগুলোতে যুদ্ধাপরাধ বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন খান ইউনিসে অবস্থিত আল নাসের হাসপাতালের এক চিকিৎসক।
এমএসএম
Advertisement