আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)-এর টেকনাফ ক্যাম্পাসে ‘মাল্টিপারপাস ডিজাস্টার রেসিলিয়েন্ট শেল্টার আইসোলেশন সেন্টার কাম হসপিটাল কমপ্লেক্স’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় আইসিডিডিআর,বি’র জন্য স্থায়ী গবেবষণা ও হাসপাতাল ভবন নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো। শনিবার (১১ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার সফরকালে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
Advertisement
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নাধীন ইমার্জেন্সি অ্যাসিসটেন্স প্রজেক্ট’র আওতায় আইসিডিডিআর,বি’র জন্য এই স্থায়ী গবেষণা ও হাসপাতাল কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এতে সহযোগিতা করছে।
আইসিডিডিআর,বি জানায়, নাফ নদীর তীরে টেকনাফ উপজেলায় আইসিডিডিআর,বি হাসপাতাল একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। এলাকাটি দুর্গম, পাহাড়ি এবং দুর্যোগপ্রবণ। ১৯৮৫-৮৬ সালে হাসপাতালটি অস্থায়ী তাঁবু নির্মাণ করে ডায়রিয়া চিকিৎসার মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করে। পরে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করলে ২০২০ সালের আগস্টে অস্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। হাসপাতালটিতে বর্তমানেও চিকিৎসা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এডিবি’র অর্থায়নে এবং ইউনিসেফের সহযোগিতায় আইসিডিডিআর,বি এখানে ৬৫ শয্যার একটি হাসপাতাল পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন>> কক্সবাজারে আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
Advertisement
স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও মায়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য হাসপাতালে মূলত কোভিডসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এ ছাড়া ডেঙ্গু, ডায়রিয়া, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং অপুষ্টির জন্য বিনামূল্যে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
প্রস্তাবিত অবকাঠামোর মধ্যে রয়েছে একটি প্রশাসনিক ভবন ও সম্মেলন কক্ষ নির্মাণ। এছাড়া রয়েছে ডায়রিয়ার চিকিৎসা, জরুরি চিকিৎসা ও সাধারণ চিকিৎসা সেবার জন্য ওয়ার্ড নির্মাণ। রেডিওলজি, ল্যাবরেটরি, ফার্মেসি, বায়ো-মেডিকেল, রান্নাঘর, স্টোর, গুদাম, লন্ড্রি, সাপোর্ট স্টাফ থাকার ব্যবস্থা এবং একটি মর্গ নির্মাণ। হাসপাতাল কমপ্লেক্সটি ৬ হাজার ৪৮৮ বর্গমিটার জুড়ে বিভিন্ন তলাবিশিষ্টি নয়টি পৃথক ভবনে বিস্তৃত হবে। প্রস্তাবিত অবকাঠামোর আনুমানিক ব্যয় ২৭ কোটি ৯ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নের সময়সীমা ২০২৫ এর মার্চ পর্যন্ত।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে হাসপাতালের অবকাঠামো শক্তিশালী করা, স্থানীয় এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য নিরবচ্ছিন্ন এবং উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করাই এই অবকাঠামো নির্মাণের মূল লক্ষ্য।
এএএম/ইএ/এএসএম
Advertisement