গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে চার হাজারের বেশিই শিশু। গাজার প্রধান হাসপাতাল আল-শিফা, আল-কুদস, আল-রানতিসি এবং ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের একেবারেই কাছে এখন ইসরায়েলি বাহিনী অবস্থান নিয়েছে। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সারাদিন ধরেই হাসপাতালগুলোর আশপাশে এবং ভেতরেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। খবর বিবিসির।
Advertisement
ইসরায়েল বারবার অভিযোগ করে আসছে যে, আল-শিফা হাসপাতালের নিচের টানেলে হামাস অবস্থান করছে। তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সংগঠন হামাস।
আরও পড়ুন: বিশ্বনেতাদের উচিত হামাসের নিন্দা করা: নেতানিয়াহু
এক নারীর করা একটি ভিডিও যাচাই করে দেখা গেছে যে, সেটি গাজা শহরের আল-রানতিসি হাসপাতালের ভেতরে করা। সেখানে তিনি বলছেন যে, এই শিশু হাসপাতালটি চারদিকে ট্যাঙ্ক দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে এবং এখানে আশ্রয় নেওয়া সবাইকে চলে যেতে বলা হয়েছে।
Advertisement
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, উত্তর গাজার এই হাসপাতালগুলো নিজেদের সামর্থ্যের ‘চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করেছে’ এবং হাজার হাজার মানুষের জীবন এখন ঝুঁকিতে রয়েছে।
আল শিফা হাসপাতালের ডাক্তার সালামিয়া এই পরিস্থিতিকে ‘ভয়ংকর’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি তার চারদিকে গুলি এবং বোমার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে গাজার হাসপাতাল আল-নাসর থেকে সাদা পতাকা হাতে শিশু ও বয়স্কদের বের হতে দেখা যায়। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর প্রায় সাড়ে চার হাজারই শিশু।
আরও পড়ুন: নারী-শিশুদের ওপর ইসরায়েলের বোমা হামলা বন্ধের আহ্বান ম্যাক্রোঁর
Advertisement
অন্যদিকে ইসরায়েল তাদের মৃত্যুর তালিকা সংশোধন করে প্রকাশ করেছে। এতদিন তারা মৃতের সংখ্যা ১৪০০ বললেও শুক্রবার দেশটির কর্তৃপক্ষ জানায় আসল সংখ্যা ১২০০ জন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লায়র হাইয়াত বলেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরপরই যারা মারা যায় তাৎক্ষণিক ভাবে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে পরবর্তীতে সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে।
টিটিএন