ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, বিশ্বনেতাদের উচিত হামাসের নিন্দা করা, ইসরায়েলের নয়। সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে গাজায় নারী-শিশুদের ওপর হামলা চালানো বন্ধ করার আহ্বান জানান ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ওই সাক্ষাতকারে তিনি যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানিয়েছেন।
Advertisement
ম্যাঁক্রোর ওই সাক্ষাতকারের পরেই এ নিয়ে মন্তব্য করলেন নেতানিয়াহু। তার মতে, বিশ্ব নেতাদের উচিত ইসরায়েলের চেয়ে হামাসের নিন্দা বেশি করা উচিত। তিনি দাবি করেন, তার দেশের সেনারা সংঘাত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু হামাস বেসামরিক লোকজনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন: নারী-শিশুদের ওপর ইসরায়েলের বোমা হামলা বন্ধের আহ্বান ম্যাক্রোঁর
এক বিবৃতিতে তিনি সর্তক করে বলেন, গাজায় আজ হামাস বা আইএস যে অপরাধ করছে তা কিছুদিন পরেই প্যারিস, নিউইয়র্কসহ বিশ্বের সব দেশই স্বীকার করে নেবে।
Advertisement
এর আগে গাজায় বোমা হামলা চালিয়ে নারী এবং শিশুদের হত্যা বন্ধ করতে হবে বলে আহ্বান জানান ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এলিসি প্রাসাদে (প্রেসিডেন্টের বাসভবন) বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি। ম্যাক্রোঁ বলেন, বোমা হামলার পক্ষে কোনো যুক্তি নেই, এর কোনো বৈধতা নেই। যুদ্ধবিরতি হলে ইসরায়েলের উপকার হবে।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে আমরা স্বীকৃতি দেই। একই সঙ্গে আমরা গাজায় এই বোমাবর্ষণ বন্ধ করারও আহ্বান জানাই। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, পরিষ্কার ভাবে হামাসের ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানায় ফ্রান্স। ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর মতো ফ্রান্সও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে।
ম্যাক্রোঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য নেতারা তার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আহ্বানে যোগ দেবেন এমনটা তিনি চান কি না। এর উত্তরে তিনি বলেন, আমি আশা করি তারা সেটা করবে।
আরও পড়ুন: আরব বিশ্বে মার্কিনবিরোধী ক্ষোভ বাড়ছে
Advertisement
অপরদিকে ইসরায়েল দাবি করেছে যে, তারা আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করছে। এছাড়া তারা বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা কমাতেও পদক্ষেপ নিচ্ছে- যেমন হামলার আগে সতর্কতা জারি করা এবং লোকজনকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো।
টিটিএন