দেশজুড়ে

২১ বছর ধরে একই অফিসে সরকারি কর্মচারী!

বগুড়ার শেরপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর সোলায়মান আলী। অভিযোগ রয়েছে, তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন এখানে সেবা নিতে আসা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। কারণ টাকা ছাড়া কিছুই বোঝেন না তিনি। এমনকি ঘুস না দিলে প্রতিষ্ঠানের কোনো ফাইলও নড়ে না।

Advertisement

অভিযোগ রয়েছে, সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে ২১ বছর ধরে একই কর্মস্থলে চাকরি করছেন অফিস সহকারী সোলায়মান আলী। অথচ বিধি অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মকর্তা একই কর্মস্থলে টানা তিন বছরের বেশি সময় থাকতে পারবেন না। দীর্ঘদিন ধরে একই অফিসে কর্মরত থাকায় তার অন্যায় দাবি ও অসৎ আচরণে ক্ষুব্ধ শিক্ষক-কর্মচারীরাও। তারা সোচ্চার হয়েছেন। ওই অফিস সহকারীর হাত থেকে মুক্তি পেতে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০২ সালের অক্টোবরে শেরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে অফিস সহকারী কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে যোগদান করেন সোলায়মান আলী। এরপর থেকে ২১ বছর একই কর্মস্থলে রয়ে গেছেন তিনি। এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন সোলায়মান। বিশেষ করে শিক্ষক-কর্মচারীদের জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছিলেন মোটা অংকের টাকা। তার দাবি করা টাকা দিতে অস্বীকার করলেই হয়রানির শিকার হতে হয় তাদের।

অভিযোগে বলা হয়েছে, নিজেকে একজন ক্ষমতাধর কর্মকর্তা মনে করেন সোলায়মান আলী। অফিসে ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকেন। অফিসের কম্পিউটার ব্যবহার করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যানবেইস জরিপ, অনলাইন এমপিও আবেদনসহ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন তথ্য এন্টির কাজ করেন তিনি। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাজের নামে পাসওয়ার্ড নিয়ে পরবর্তী সময়ে তা পরিবর্তন করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।

Advertisement

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন অফিস সহকারী কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর সোলায়মান আলী। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তিনি বলেন, একটি কুচক্রী মহল আমার প্রমোশন বাধাগ্রস্ত করার জন্য এ মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এছাড়া অচিরেই এ কর্মস্থল থেকে চলে যাবেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযোগগুলো তদন্তে কমিটি করা হবে।

এসআর/এএসএম

Advertisement