ওয়াশরুম থেকে শুরু করে হলের প্রাঙ্গণ, করিডর, সিঁড়ি—সব জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা-আবর্জনা। বন্ধ রয়েছে ডাইনিং ও ইন্টারনেট সুবিধা। এরকম নানা সমস্যায় জর্জরিত গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় দিবস হল।
Advertisement
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলের কিছু ওয়াশরুম প্রায় একমাস পরিষ্কার করা হয় না। কয়েকমাস হলে প্রভোস্ট নেই। দীর্ঘদিন ধরে হলের ডাইনিং বন্ধ। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) থেকে হলের ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন। সবমিলিয়ে এখানে অবস্থান করাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, হলের বেশিরভাগ বাথরুম ও টয়লেট অপরিষ্কার। দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার না করায় ওয়াশরুমগুলো নোংরা। বেশকিছু টয়লেটসহ গোসলখানায় নেই বৈদ্যুতিক বাতি।
বায়োমেট্রিক অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইমরান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ওয়াশরুমগুলো পরিষ্কার না করায় সেগুলো প্রায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। বেশিরভাগ ওয়াশরুমের বাতি নষ্ট। টয়লেটের কিছু কিছু ব্লক একেবারে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। সবমিলিয়ে আমরা খুবই ভোগান্তির মধ্যে আছি।’
Advertisement
এদিকে প্রায় এক বছর ধরে বন্ধে রয়েছে হলের ডাইনিং। এসব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বেশ সরব হয়ে উঠলেও সমস্যা সমাধানে কোনো অগ্রগতি নেই হল প্রশাসনের।
গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও হলের আবাসিক ছাত্র আব্দুল গফফার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে প্রভোস্ট না থাকায় আমরা অভিভাবকহীনভাবে হলে থাকছি। হলের ওয়াশরুমও ব্যবহারের অনুপযোগী। চারপাশ অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন। সবমিলিয়ে বলতে গেলে হল ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। চারপাশ ঝোপঝাড় থাকায় মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। আমরা হলের শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে বাস করছি।’
হলের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রভোস্ট জাহিদ হাসান বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি কি প্রভোস্ট? এ বিষয়ে প্রভোস্টের কাছে, ভিসি দপ্তরে খোঁজ নাও।’
এ বিষয়ে উপাচার্য ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, ‘আমরা সামনের সপ্তাহে সোমবারের মধ্যে প্রভোস্ট নিয়োগ দিয়ে দেবো। আশা করি তখন সমস্যা থাকবে না।’
Advertisement
এসআর/এমএস