কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
Advertisement
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ওয়ার্ডের বেলকনিতে রাখা ম্যাট্রেস থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডায়রিয়া ওয়ার্ড সূত্র জানায়, ওয়ার্ডের একটি কক্ষের পূর্ব দিকের বেলকনিতে রাখা কিছু ম্যাট্রেসে আগুন লাগে। এসময় ওয়ার্ডে ১৫ শিশুসহ মোট ৩০ রোগী ছিলেন। তবে ধোঁয়া দেখে রোগী ও তাদের স্বজনরা দ্রুত ওয়ার্ডের বাইরে বের হয়ে যাওয়ায় কারও কোনো ক্ষতি হয়নি।
Advertisement
ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স রোজিনা খাতুন বলেন, ‘দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে হঠাৎ করে ওয়ার্ডের একটি কক্ষের বেলকনি থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখি। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট হয়েছে এমন সন্দেহে সঙ্গে সঙ্গে আমরা মেইন সুইচ বন্ধ করে দেই। কিন্তু ধোঁয়া বেশি হয়ে কক্ষের টয়লেটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রোগীরা দ্রুত ওয়ার্ড থেকে বাইরে বের হয়ে যান। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।’
ক্ষয়ক্ষতি প্রশ্নে রোজিনা বলেন, আগুনের ধোঁয়ায় গোটা ওয়ার্ড আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। রোগীরা ধোঁয়া দেখে বের হয়ে যাওয়ায় কারও কোনো ক্ষতি হয়নি। শুধু পুরোনো কিছু ম্যাট্রেস পুড়ে গেছে।
আসমা নামে ওয়ার্ডের এক রোগী বলেন, ‘কেমন করে আগুন লাগছে জানি না। আগুনের ধোঁয়া দেখে আমরা বাইরে বের হয়ে গেছি।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভবত কোনো রোগীর স্বজন বা অন্য কারও সিগারেট কিংবা কয়েলের আগুন থেকে বেলকনিতে রাখা ম্যাট্রেসে আগুন লাগে। পরে ওই আগুনে টয়লেটের দরজাও পুড়ে যায়। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত পৌঁছে আগুন নিভিয়ে ফেলি। অন্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’
Advertisement
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান সরদার বলেন, আগুনে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। কারণ অনুসন্ধানে আমরা একটি তদন্ত কমিটি করবো।
ফজলুল করিম ফারাজী/এসআর/এমএস