নতুন শিক্ষা কারিকুলাম শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছেন লেখক ও গবেষক এবং শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা।
Advertisement
তিনি বলেন, এই প্রতারণার চিত্র ১৯৮০ সাল থেকে শিক্ষার্থী হিসেবে দেখে আসছি। এখন দেখছি অভিভাবক হিসেবে। নতুন কারিকুলামে হাতে কলমে শিখে তারপর তত্ত্বে আসার যে শিক্ষা, এটা কোনো সাধারণ ধারা না। এই কারিকুলাম জাতির সঙ্গে রাষ্ট্রের, সরকারের, মন্ত্রণালয়ের প্রতারণা।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নতুন কারিকুলাম বাতিল ও পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রাখাল রাহা বলেন, প্রতিনিয়ত টেক্সট বইয়ের কারিকুলাম নিয়ে এক ধরনের খেলা খেলছে। অথচ শিক্ষার মান কমে যাওয়া নিয়ে সারাদেশে প্রশ্ন হচ্ছে। মানোন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষিত শিক্ষক প্রয়োজন, ক্লাসরুমের মান উন্নয়ন, শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি দরকার। অথচ সরকার সেখান থেকে দূরে থাকছে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, কারিকুলাম তৈরি করে ক্রমাগত ভালোর নামে আমাদের প্রতারিত করা হচ্ছে। বর্তমানে গার্ডিয়ানরা সচেতন হচ্ছে। তারা এ কারিকুলামের বিরুদ্ধে কথা বলছে।
৯০ দশকের কারিকুলামের কথা উল্লেখ করে রাখাল রাহা বলেন, ১৯৮০ সালে একবার বিজ্ঞান বই পরিবর্তন করা হয়েছিল। তখন বিজ্ঞান বইয়ের ওপর লেখা ছিল, হাতে-কলমে সবাই বিজ্ঞান শিখবো। কিন্ত সারাদেশে কোথাও স্কুল কলেজে কোনো ল্যাব ছিল না। এসময় বিজ্ঞানে দিন দিন শিক্ষার্থীরা খারাপ করতে থাকে। একপর্যায়ে বিজ্ঞানে অর্ধেক শিক্ষার্থী কমে যায়। এরপর কারিকুলাম বাতিল করে আবার আগের কারিকুলামে বই আনা হয়। এরপর শুরু করে রচনামূলক প্রশ্ন, তারপর নতুন করে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করে, তবুও শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারেনি।
এর আগে বক্তারা নতুন কারিকুলামের সমালোচনা করে বলেন, নতুন কারিকুলামে পরীক্ষা পদ্ধতি বন্ধ করা হয়েছে। পরীক্ষা ছাড়া প্রকৃত শিক্ষা হবে না। এটি হাস্যকর একটি কারিকুলাম। এ শিক্ষাব্যবস্থায় বাচ্চারা নষ্ট হয়ে যাবে। ইংরেজি বই দেখলে চোখে পানি আসে। বইয়ের ভেতর কিছুই নেই। ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির বইগুলোতে বয়ঃসন্ধিকালে কি কি পরিবর্তন হয়, মাসিক-পিরিয়ডের কথা লেখা রয়েছে, এগুলা কখনো বই দেখে শিখতে হয় না। এগুলো ন্যাচারাল পদ্ধতিতে আসবে।
আরএ/জেডএইচ/এমএস
Advertisement